গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে গিলতলা বালুর মাঠে মাসব্যাপি মিনি বাণিজ্যিক মেলা শুরু হলেও মেলার অন্তরালে জুয়ার লটারির টিকিট বিক্রি ও চরকা খেলা চলছে। অভিযোগ রয়েছে পুলিশকে প্রতিদিন মাসোয়ারা দিয়ে মেলার মধ্যে চলে রমরমা জুয়ার ব্যবসা। তবে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: কবির হোসেন আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, মেলার মধ্যে জুয়া খেলা হচ্ছে কি’না আমি জানি না। কেউ আমাকে অভিযোগ দেয়নি।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে ২৯ ডিসেম্বর রাতে নগরীর দৌলতপুর থেকে জুয়ার লটারির টিকিট ও লটারির বিক্রির টাাকাসহ কামরুল হোসেন এরশাদকে আটক করেছিল ডিবি পুলিশ। ওই সময় সে নিজেকে দেয়ানা ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হিসেবে দাবি করেন। তবে এই নামে ওই ওয়ার্ডে যুবদলের কোন সভাপতি নেই। ওই দিন জুয়ার লটারি সহ আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে তদবিরও করা হয়। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে হঠাৎ করে নগরীর বিভিন্নস্থানে চুরি ও ছিনতাই বেড়েছে। একাধিক নির্ভরযোর্গ্য সূত্রে মতে, পুলিশকে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা মাসোহারা দিয়ে মেলার অন্তরালে চলছে জুয়ার লটারির টিকিট বিক্রি ও চরকা খেলা। কারণ হিসেবে সূত্র জানায়, পুলিশকে টাকা না দিয়ে এইসব অবৈধ জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না।
প্রতিদিন খুলনা মহানগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় ২শ’র বেশি ইজিবাইক অসংখ্য পিকআপ ও মটরসাইকেলে করে টিকিট বিক্রি করছে। গত শনিবার খানজাহান আলী থানার ওসি তার পরিবার নিয়ে মেলার আয়োজক সেলিম খানের সাথে মেলার মাঠ ঘুরে দেখেন । বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মেলার আয়োজক সেলিম ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। গত কয়েকদিনে খানজাহান আলী থানার মিরেরডাঙ্গা, শিরোমনি, বাইপাস, গিলাতলা , বাদামতলা যোগিপোলসহ বিভিন্নস্থানে চুরি সংঘটিত হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য খুলনার উপ-পুলিশ কমিশনার ( ডিসি নর্থ) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে আজ দুপুরে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
ঊ/আ-এইচআর