খালিশপুর ঐতিহ্যবাহী দুর্বার সংঘ এলাকাবাসী মাদক বিক্রেতাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে মাদক সম্রাট সাদ্দাম বাহিনী এতই বেপরোয়া হয়ে পড়েছে যে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর হুমকি ও মারধর করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে দুর্বার সংঘের উদ্যোগে রোববার সকালে খালিশপুর লিবার্টি চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংঘের সভাপতি মেহেদী হাসান। অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খালিশপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, ১০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফারুখ হিল্টন, উজানের মুনসুর আলম চৌধুরী, খালিশপুর বণিক সমিতির সভাপতি আঃ মতিন বাচ্চু, চিত্রালী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন, খালিশপুর ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওঃ আনোয়ারুল আজিম, নয়াবাটি হাজী শরিয়তুল্লাহ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ জাহিদুজ্জামান,৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লিটন খান, দারুস সালাম মসজিদের ইমাম মাওঃ মারুফ হাসান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও অংশ নেন সংঘের নেতা আবুল কালাম আজাদ, আঃ হালিম শিকদার, দাউদ আলী,জামসেদ আলী, সৈয়দ মোকসেদ আলী, বাবলু, আলহাজ্ব শেখ গফুর আহমেদ, মোশাররফ হোসেন, মিজানুর রহমান খোকন, জহির হোসেন, সঞ্জয় কুমার, রফিক খোকন, মুজিবর রহমান, শেখ মিঠু, হযরত খোকন, মহিবুল্লাহ নাগর, রহিম, ফিরোজ হোসেন, খান পলাশ, সোহরাব, শেখ রবি প্রমূখ। বক্তারা বলেন, এ অঞ্চলে আগে ৬টি মাদকের পয়েন্ট ছিল । এখন বেড়ে হয়েছে ১৮টি পয়েন্ট। অর্থ্যাৎ তিনগুন মাদক বিক্রির কার্যক্রম বেড়েছে ৫ আগস্টের পর। সাথে ইভটিজিংও বেড়েছে। স্কুল কলেজগামী মেয়েরা এলাকায় বিপদগামী তরুণদের দ্বারা ইভটিজিং-এ শিকার হচ্ছে। প্রশাসনের অসৎ সদস্যরা মাদক বিক্রেতাদের সাথে মিলেমিশে এলাকায় মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। রয়েছে কতিপয় রাজনৈতিক নেতার আর্শিবাদ। বিনিময়ে তারা প্রতিদিন পয়েন্ট থেকে মাদক বিক্রির টাকা তুলে নিচ্ছে। এসব রাজনৈতিক নেতাদের চিহ্নিত করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার দাবি জানানো হয়। বিএনপির যে নেতা মাদক সেবন, বিক্রি ও মাদক বিক্রেতাদের আশ্রয় দিবে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সাথে দুর্বার সংঘের যেসব সদস্য মাদক বিক্রি ও সেবনের সাথে জড়িত তাদের সনাক্ত করে তাদের সদস্য পদ বাতিল করার দাবি করা হয়। সংঘের সিনিয়র সদস্য শেখ গফুরকে মাদক বিক্রেতা কর্তৃক লাঞ্চিত করার কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে এসব মাদক বিক্রেতারা পেশা না ছাড়লে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। প্রয়োজনে তাদের এলাকা থেকে উৎখাত করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চরণ করা হয়। মাদক স¤্রাট সাদ্দাম ও তার বাহিনী একজন রাজনৈতিক নেতার সেল্টারে থেকে এলাকায় মাদকে সয়লাব করে ফেলেছে। এই সাদ্দাম বাহিনীকে কোনভাবে এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না। তার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে।
ঊআ-বিএস