ঊষার আলো ডেস্ক : নারীদের ওপর হয়রানির বিষয়গুলো কঠোরভাবে না নেওয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত কমিটি শক্তিশালী করা হচ্ছে না। কর্মস্থলে যৌন হয়রানির প্রতিকার পাবার জন্য ২০০৯ সালে বাংলাদেশের হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছিল। সেখানে বলা আছে, কোন প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে সেটি তদন্ত ও প্রতিকার পাবার ব্যবস্থা থাকতে হবে। কেউ যদি মনে করে যে তিনি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাননি তাহলে সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে কোন পক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। এর বাইরে গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে ভিকটিম পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। এত সব আইন থাকলেও তার প্রয়োগের অভাবে অভিযোগকারী প্রতিকার পাচ্ছে না। জনউদ্যোগ, খুলনার নারী ও যুব সেলের মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে জনউদ্যোগ, খুলনার নারী ও যুব সেলের উদ্যোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক সহকর্মীকে যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ নারী সেলের আহবায়ক এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। সঞ্চালনা করেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনউদ্যোগ,খুলনার উপদেষ্টা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাডঃ মোমিনুল ইসলাম, খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতা এস এম সোহরাব হোসেন, সুজনের ্্যাডঃ মামুনর রশীদ,বৃহত্তর আমরা খুলবাসীর সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, নান্দিক একাডেমীর পরিচালক জেসমিন জামান, বি ডাব্লিউ সিসিআই চিশতী মোস্তরী বানু, সুন্দরবন লায়ন্স ক্লাব সঞ্চিতা দে,লেখিকা সংঘের মুক্তা জামান,জনউদ্যোগ যুব সেলের অনুপ কুমার মন্ডল, থেডের নির্বাহী পরিচালক পরেশ কুমার সাহা, সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু, বাসদের সমন্বয়ক জনার্দন নান্টু, টিইউসির রঙ্গলাল মৃধা, রূপসা মহিরা কলেজের শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান, যুব ইউনিয়নের শাহ মোঃ অহিদুজ্জামান, ছাত্রনেতা সনজিত মন্ডল, খবি’র শিক্ষার্থী আতিদ তূর্য, আশিক বিশ্বাস, নোমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, যৌন হয়রানির শিকার হলে নারীদের অবশ্যই অভিযোগ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। অভিযোগ দায়ের না করলে অপরাধীরা অনায়াসে পার পেয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে আবারো অন্যজনের সাথে একই অপরাধ করবে।
বক্তারা বলেন , অনেকে মনে করে যে অভিযোগ উত্থাপন করলে শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিংবা পরবর্তীতে চাকরি পেতে সমস্যা হবে। তাছাড়া অনেকের পরিবারও চায়না যে বিষয়গুলো প্রকাশ হোক। ফলে এই সুযোগে অপরাধীরা দিনদিন পার পেয়ে যাচ্ছে।