UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুমেক হাসপাতালে বিকল ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিন: বড় দুর্ভোগের শঙ্কা

koushikkln
এপ্রিল ২, ২০২১ ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

করোনার প্লাজোমা দিতে মেশিনটি খুবই জরুরী

বিশেষ প্রতিনিধি : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিনটি ৬ মাস ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্লাজমা থেরাপি, ডেঙ্গু রোগীদের রক্তের প্লাটিলেট দিতে মেশিনটি খুবই জরুরী। করোনা বা ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লে বিকল যন্ত্র নিয়ে দুভোর্গ বাড়াবে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, রক্তের জটিল রোগ নির্ণয় ও রক্ত পরিশোধনের জন্য ব্লাডসেল সেপারেটর বা রেফ্রিজারেটেড সেন্ট্রিফিউজ নামের একটি মেশিন ব্যবহার করা হয়। ২০০২ সালের ৫ মার্চ খুমেক হাসপাতালে মেশিনটি স্থাপন করা হয়। টেকনোওয়ার্থ অ্যাসোসিয়েট নামের প্রতিষ্ঠান যন্ত্র সরবরাহ করে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ওই মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালে স্টালিং মাল্টিটেকনোলজি লিমিটেড নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান যন্ত্রটি হাসপাতালে সরবরাহ করে। এটিও কয়েক দফা বিকল হয়ে এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।
সূত্রটি জানায়, মেশিন প্রতিস্থাপনের পর প্রতিদিন খুলনা অঞ্চলের ৩০-৪০ জন রোগী এর থেকে সেবা নিয়ে আসছিল। প্রতিস্থাপনের দেড় বছরের মাথায় মেশিনটি প্রথমবার বিকল হয়। এরপর তা আবার ঠিক করা হয়। এভাবে কয়েক দফা বিকল ও মেরামতের পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে যন্ত্রটি ফের বিকল হয়ে পড়ে আছে।
হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. জিল্লুর রহমান তরুন বলেন, যন্ত্রটি দিয়ে বিনামূল্যে রোগীদের সেবা দেওয়া হতো। ডেঙ্গু প্রকোপের সময় এই যন্ত্র দিয়ে অসংখ্য রোগীর শরীরে প্লাটিলেট দিয়ে তাদের সুস্থ করা হয়েছে। এছাড়া থ্যালাসেমিয়াসহ অন্য রোগীরা তো সেবা নিতেনই। যন্ত্রটি দ্রুত মেরামতের জন্য এ পর্যন্ত ৪ দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যন্ত্রটি পুরাতন হওয়ায় বার বার বিকল হচ্ছে। এজন্য খুমেকে সম্পূর্ণ নতুন আরেকটি সেল সেফারেট মেশিন প্রয়োজন। এছাড়া সরাসরি রক্তের কনিকাগুলো পৃথক করে শরীরে পুশ করার জন্য আরেকটি এফেরেসিস মেশিন প্রয়োজন। তাহলে খুলনাসহ এই অঞ্চলের মানুষকে ঢাকায় ছুটতে হবে না।

এইচ এইচ/ ঊআলো