UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খুলনায় পুলিশের গুলিতে ১৫৪জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও ৩ শতাধিক নেতাকর্মী আহত

usharalodesk
মে ২৩, ২০২৩ ৮:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্কঃ  খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন,  ১৯ মে খুলনায় পুলিশ যে নারকীয় তান্ডব চালিয়ে তা নজিরবিহীন। পুলিশের গুলিতে মহানগর ও জেলার ১৫৪জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৯জন নেতাকর্মীতে। এছাড়া বিএনপির শান্তিপুর্ণ কর্মসুচিতে পুলিশ নির্বিচারের গুলিবর্ষণ চালিয়েছে, অমানবিকভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে আবার ১৩০০ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এভাবে প্রকাশ্যে পুলিশ গুলি করে নেতাকর্মীদের পঙ্গু বানাবে এটা কোনো গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না। বিনা উস্কানিতে খুলনার পুলিশ-প্রশাসন এই রক্তাক্ত সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে। এই সহিংস সন্ত্রাসের জন্য দায়ী খুলনার পুলিশ প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, পুলিশের হয়রানি, নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও পরিবার পরিজনের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণের প্রতিবাদে প্রেসব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন। এড. মনা বলেন, একজন ওসি প্রকাশ্যে অন্যের শর্টগান কেড়ে নিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন ওই ওসি কি আইনের উর্ধ্বে ? যদি তা না হয় তবে ওসি কিভাবে বারংবার এ ধরনের অন্যায় করে? ওই ওসিসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ভিডিও ফুটেজ ও নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে শীঘ্রই আদালতে মামলা দায়ের করা হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দিঘলিয়ার উপজেলা যুবদলের নেতা সোহেল ১৮ মে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও ১৯ মে তারিখের মামলায় পুলিশ তাকে এজাহার নামীয় আসামী করেছে। যাহা রীতিমত হাস্যকর। বন্দুকের নলের জোরে কোন স্বৈরাচার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেনি, বর্তমান অবৈধ সরকারও পারবে না। সরকারের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। চলমান আন্দোলনে জনস্রোতে সরকার ভেসে যাবে। তিনি খুলনার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ সদস্যরা যদি কারো পক্ষ অবলম্বন করেন তাহলে যেকোন পরিস্থিতির জন্য ওই সকল পুলিশ সদস্যরাই দায়ী থাকবেন।

তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ১৩শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সাথে অহেতুক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, পরিবার পরিজনকে হয়রানী ও অসৌজন্যমুল আচরন করা থেকে বিরত থাকার আহবানসহ চলমান আন্দোলনে বাধাসৃষ্টি না করার আহবান জানিয়েছেন।

প্রেসব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, স. ম. আব্দুর রহমান, শের আলম শান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, সাইফুর রহমান মিন্টু, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল, মুরশিদ কামাল, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, কাজী মিজানুর রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, আহসান উল্লাহ বুলবুল, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, গাজী আফসার উদ্দিন, নাসির খান, আব্দুর রহমান ডিনো, মো. জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, মুজিবুর রহমান, শামসুল বারী পান্না, খান ইসমাইল হোসেন, সেতারা সুলতানা, সিরাজুল ইসলাম লিটন, শহীদ খান, মোস্তফা কামাল, কে এম মাহাবুবুল আলম, শেখ মোঃ আসলাম, আব্দুল আলিম, ওহিদজ্জামান হাওলাদার, জাকির ইকবাল বাপ্পি, মুনতাসির আল মামুন, কাওসারি জাহান মঞ্জু, সাজ্জাদ হোসেন জিতুসহ অনেকে।