খুলনা মহানগরীতে সোহেল রানা নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের দাগ রয়েছে৷ যার কারনে এটা হত্যা না আত্মহত্যা বুঝতে পারছে না পুলিশ।
খোজ নিয়ে জানা যায়, আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাত সোয়া ৭টার দিকে খুলনা থানাধীন ১৬৮ বুড়ো মৌলভীর দরগা মেইন রোডস্ত আশরাফুল আলমের তিনতলা বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। সে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপির এডিসি ( মিডিয়া) মোহা: আহসান হাবিব।
পুলিশ জানায়, আজ রাত সোয়া ৭টার দিকে খুলনা থানাধীন ১৬৮ বুড়ো মৌলবির দরগা মেইন রোডস্থ আশরাফুল আলমের ৩ তলা বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া মোঃ সোহেল রানারে স্ত্রী শারমিন সকাল সাড়ে ১০ টায় ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বের হয়ে আসে। এরপর স্ত্রী বারবার ফোনে যোগাযোগ করলে, ফোনে না পেয়ে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন দরজা ভেঙ্গে শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। এছাড়াও নিহতে কপালে, হাতে, পায়ে, ছুরি দিয়ে কাটা দেখা যায়। রান্নাঘরে, ডাইনিং রুমে এবং যেখানে ঝুলে আছে সেখানে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ফ্লোরে ও রান্নাঘরে বেসিং এর মধ্যে ২টি ছুরি পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ভিকটি তার বড় ভাই খোকনের সাথে টাকা পয়সা জমি-জায়গা নিয়ে ব্যাপক মনোমালিন্য ছিল, ভিকটিম দীর্ঘদিন সাউথ কোরিয়ায় থেকে টাকা পয়সা সবকিছু বড় ভাই খোকনের কাছে পাঠিয়েছিল, খোকন তার ভাইকে টাকা পয়সা, সম্পত্তি সন্তোষ জনক ভাবে বুঝিয়ে দিতে না পারার জের ধরে এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে বলে তার স্বজনদের ধারণা।