UsharAlo logo
শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক্সের মেয়াদ অক্টোবরে শেষ

koushikkln
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ ৭:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : স্থানীয় সিভিল সার্জন কার্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিটি কর্পোরেশনে মুজদকৃত দু’ধরণের করোনা টিকার মেয়াদ অক্টোবরে শেষ হচ্ছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ৬৯ হাজার ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। উল্লিখিত দুটি টিকা হচ্ছে সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক্স।

করোনা নির্মূলে গত বছরের ৭ ফেব্রæয়ারি থেকে খুলনায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের বেশিরভাগ সময় খুমেক, জেনারেল হাসপাতাল, আবু নাসের, ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালে টিকা দেয়া হয়। প্রথমদিকে দীর্ঘ লাইন ও টিকার কদর থাকলেও এবছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সেই অবস্থা নেই। গত দেড় বছরে খুলনা জেলায় মর্ডাণা, ফাইজার, এ্যাস্ট্রোজেনাকিা, সিনোফার্ম, জনসন, সিনোভ্যক্স ও ফাইজার (শিশু) টিকা দেয়া হয়। প্রথমদিকে পূর্ণ বয়স্কদের টিকা দেয়া হলেও শেষদিকে শিক্ষার্থী ও শিশুদের টিকা দেয়া হয়। এপর্যন্ত ৪৯ লাখ ২৯ হাজার ২শ’ ৫৩ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়। ৭৮ শতাংশ ব্যাক্তি ১ম ডোজ, ৭১ শতাংশ ২য় ডোজ এবং ৩৬ শতাংশ ব্যাক্তিকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়।

জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে মজুদকৃত ২৯ হাজার ৮৫২ ডোজ সিনোফার্ম টিকা আগামী ২৪ অক্টোবর এবং ৪০ হাজার ৯শ’ ৬১ ডোজ সিনোভ্যাক্স টিকার মেয়াদ ২৬ অক্টোবর শেষ হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র বলেছেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৬ দিনে পরবর্তী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এ কর্মসূচিতে ১ লাখ লোককে টিকা প্রদান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা ২০৪টি কেন্দ্রে এবং নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে টিকা প্রদান করা হবে।

করোন সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ৫ দফা সুপারিশ করেছে। সুপারিশের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, ৩য় ডোজ নিতে উদ্বুদ্ধ করা এবং বদ্ধ স্থানে সভা-সমাবেশ না করা।
আইইডিসিআরএর পরিচালক তহমিনা শিরিন গণমাধ্যমকে বলেন, টিকা গ্রহণ করলে করোনা সংক্রমণ কমবে। এসূত্র বলেছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে মৌসুমী জ¦র ও ইনফ্লুয়েঞ্জা বাড়ে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে উল্লেখ করেন, জুলাই-আগস্ট মাসে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ করোনা পজিটিভ ছিল। মে মাসে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। তিনি বলেন, জেলায় পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছে।