খুলনা বিভাগে ৯ জেলায় ও দুটি সরকারি হাসপাতাল মিলে একদিনে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৯১ জন। এ সময়ে মৃত্যুর কোন খবর পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগী ছাড়াল ৯ হাজার ৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর দপ্তরের সূত্র মতে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত একদিনে খুলনা বিভাগের ৯ জেলায় ও দু্িট সরকারি হাসপাতালে মিলে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৯১ জন। এর মধ্যে খুলনায় সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২৭ জন। এছাড়া বাগেরহাটে ১ জন, সাতক্ষীরায় ৫ জন, যশোরে ৪ জন, ঝিনাইদহে ৮ জন, মাগুরায় ৯ জন, নড়াইলে ৪ জন, কুষ্টিয়ায় ১৩ জন এবং মেহেরপুরে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। বিভাগের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে।
এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও দুটি সরকারি হাসপাতাল মিলে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৯ হাজার ৩৫ জন। এ সময়ে ৪ জেলায় ও দুটি সরকারি হাসপাতালে মিলে মোট ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। মারা যাওয়ার মধ্যে খুলনায় ৫ জন, যশোরে ৫ জন, ঝিনাইদহে ১ জন, কুষ্টিয়ায় ২ জন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় ২ হাজার ৭৪৬ জন, বাগেরহাটে ১০৩ জন, সাতক্ষীরায় ২২৩ জন, যশোরে ১ হাজার ২২৬ জন, ঝিনাইদহে ৬১০ জন, মাগুরায় ২৮১ জন, নড়াইলে ৬৪৮ জন, কুষ্টিয়ায় ১ হাজার ২৮ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২০২ জন ও মেহেরপুরে ৬২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ হাজার ১৪২ জন এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০৫ জন এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার সুহাষ রঞ্জন হালদার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়। এ সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৭২ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয় ১৩ জনের।
খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যায়, আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসেই এর মাত্রা বাড়তে থাকে। তবে ২০২৩ সালে অক্টোবর পরবর্তী সময়েও আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। এদিকে চলতি মৌসুমের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে আগস্ট থেকে।
কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নিধনের কোনো বিকল্প নেই। দ্রুত মশা নিধনের জন্য ক্রাশ প্রেগ্রাম গ্রহণ করতে হবে। উড়ন্ত মশাগুলোকে মেরে অন্তত পরিস্থিতি কিছুটা ভালো করা যেতে পারে। এমন কিছু করা না গেলে পরিস্থিতি হতে পারে ভয়াবহ।
ঊ-আ/ এইচআর