‘মব জাস্টিস’ এখন নতুন এক আতঙ্কের নাম। সংঘবদ্ধ কিছু মানুষের নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতাকে অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায় ‘মব জাস্টিস’ বলা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে এই মব জাস্টিসের নামে কাউকে গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে। যখন-তখন কারও বাড়িতে ঢুকে লুটপাট করা হচ্ছে। কাউকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। কোথাও আবার কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনিক কাউকে জুতার মালা পরিয়ে কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে। বেড়েছে দলবদ্ধ হয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে কাউকে হত্যা করার ঘটনাও। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। মব জাস্টিসের শিকার হচ্ছেন রাজনীতিবিদ, পুলিশ, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় তাৎক্ষণিক এবং দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক পাড়ায়-মহল্লায় টহল বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর বিগত কয়েক মাসে মব জাস্টিসের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ঘটা এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা প্রতিরোধে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ক্রমাগত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের কারণে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম না হলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা আছে। এভাবে মব জাস্টিস বেড়ে যাওয়ার পিছনে বিগত সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসন বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। গত দেড় দশকে জনমানসে যে ব্যাপক মাত্রার ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, বর্তমানের ঘটনাগুলো এরই বহিঃপ্রকাশ।
তাদের আরও অভিমত-তবে বাংলাদেশে এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা আগেও দেখা গেছে। তবে সেটা কথিত চোর-ডাকাতকে পিটুনি দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার পুলিশ, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা কর্মকর্তাদের জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা, মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া, আদালত এলাকায় আসামিদের ওপর হামলা, আবার কোথাও কোথাও পিটিয়ে, কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও হামলা এবং ভাঙচুর হয়েছে ভাস্কর্য, মাজার, স্থাপনা ও শিল্প-কারখানায়। এ ধরনের ঘটনা ছাত্র-জনতার গোটা গণ-অভ্যুত্থানকেই ব্যর্থ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বরং বেড়েই চলছে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার লাগামহীন সংস্কৃতি। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে গুলশানের একটি বাসায় তল্লাশির নামে তছনছ, ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়। ওই বাসায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ, অস্ত্র ও আওয়ামী লীগের দোসররা লুকিয়ে আছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে দরজা ভেঙে বেশ কয়েকজন লোক ঢুকে পড়ে। তল্লাশির অজুহাতে বাসাটিতে তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় তারা। প্রথমে বলা হয়, বাসাটি ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের। পরে জানা গেছে, বাড়িটি তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর। স্বামীর সঙ্গে ২৭ বছর আগে বিচ্ছেদের পর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। যদিও এ ঘটনায় পরে ৩ জনকে আটক করা হয়।
একইদিন দুপুরে ‘মব’ করে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ইরানের দুই নাগরিকসহ তিনজনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে এই দুই বিদেশি নাগরিককে উদ্ধার করেন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ইরানের দুই নাগরিক হলেন-মোহাম্মদ আহমদ ও তার নাতি মো. মেহেদী। বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছেন তারা। আহত অন্যজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, বিদেশি মুদ্রা বদলে বাংলাদেশি টাকা নিতে ওই এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে যান ইরানের দুই নাগরিক। ওই সময় সেখানে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের মুদ্রা বিনিময় নিয়ে তর্ক হয়। এর জেরে ইরানের দুই নাগরিককে ছিনতাইকারী বলে ‘মব’ সৃষ্টি করে মারধর করা হয়। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরপর এই দুঘটনার পর মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যদিও এর আগের দিন সোমবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মসজিদের মাইকে ডাকাত এসেছে ঘোষণার পর পিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চনা এলাকার মাহমুদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন এবং একই ইউনিয়নের গুরগুরি এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ছালেক। সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন তারা দুজন। নিহতদের নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির অভিযোগ, তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এরও আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার হাতে গণপিটুনির শিকার হন ডাকাত দলের সদস্যরা। এ ঘটনায় মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর কবিরহাটে জহিরউদ্দিন নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় মব তৈরি করে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলীকে হেনস্তা ও মারধর করে কিছু মাদকসেবী। যা পরে ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে ‘ভুয়া’ পুলিশ বলে মব সৃষ্টি করে আক্রমণ করে পুলিশ সদস্য ইফসুফ আলীর ওপর। পরে এ ঘটনায় যদিও ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া সম্প্রতি টঙ্গীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে একজনকে পিটুনি দেওয়ার পর মারা যায় এক যুবক। একই দিনে রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে দুব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করার পর পায়ে দড়ি বেঁধে পথচারী সেতুর সঙ্গে তাদের উলটো করে ঝুলিয়ে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর চোর সন্দেহে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
মব জাস্টিসের নামে এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়া, গণপিটুনি, হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ একের পর এক বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছে দুষ্কৃতিকারী ছাড়াও সাধারণ নিরপরাধ মানুষ। একদিকে যেমন ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে মব সংস্কৃতির ঘটনাও। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও কিছু মানুষ সংঘটিত হয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে মবের ঘটনা সংঘটিত করছে, এতে বাড়ছে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধ। ডাকাত-ছিনতাইকারীর পাশাপাশি অনেক সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষও ঘায়েল হচ্ছে এই মব জাস্টিসে। ফলে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে নাগরিক সমাজে।
এ প্রসঙ্গে মানবাধিকারকর্মী ও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বুধবার বলেন, গণপিটুনি দিয়ে মানুষকে মেরে ফেলা, বসতবাড়িতে ঢুকে লুটপাট, জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করাসহ মবের নামে যা হচ্ছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। যদিও দুর্ভাগ্যবশত এ ধরনের ঘটনা আমাদের দেশে নতুন নয়। আমরা প্রতি বছরই এই ধরনের ঘটনা দেখে আসছি। আমাদের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এগুলো নিয়ে ডকুমেন্টেশনও করে আসছে। ৫ আগস্টের পর আমরা দেখছি কোনো কোনো ব্যক্তি অন্যের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। অনেক স্কুল-কলেজে কাউকে কাউকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। জোর করে বসতবাড়িতে ঢুকে লুটতরাজ চলছে। এগুলোকে যে ‘মব জাস্টিস’ বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। কারণ, এগুলো তো কোনো ধরনের জাস্টিস না। এটা স্রেফ নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া। এটা অবিচার, অন্যায়। গত কয়েক মাস ধরে আমরা এমন কিছু ঘটনা দেখেছি, যেগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ১৬ জন। ওই মাসে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে ঢাকায়, ৭টি। এছাড়া ২০২৪ সালে সারা দেশে মারা যায় ১৪৬ জন। ২০২৩ সালে ৫১ জন, ২০২২ সালে ৩৬, ২০২১ সালে ২৮ এবং ২০২০ সালে মারা যায় ৩৫ জন। অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে দলবদ্ধ পিটুনিতে নিহত হয় ২১ জন। ফেব্রুয়ারিতে মবের শিকার হয়ে মৃত্যু হয় সাতজনের। আর মার্চের প্রথম ৪ দিনেই মব জাস্টিসের নামে মারা যান দুজন। আর গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত গণপিটুনিতে ১২১ জন নিহত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (সাবেক আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বুধবার বলেন, দেশে মবের নামে এখন যা চলছে তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই সেদিন পতেঙ্গায় একজন পুলিশ সদস্যের ওপর যা হলো, তা দুঃখজনক। গুলশানে যা হলো, ভাটারায় বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে যা হলো, কিংবা কিছুদিন ধরে চলতে থাকা প্রতিটি ঘটনাই দুঃখজনক। এসব বন্ধে সরকারের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের আরও কঠোর হতে হবে। দেখছি, দেখব, কি করা যায়, আস্তে আস্তে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে-এসব আলোচনা বাদ দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরো শক্তি দিয়ে মাঠে নামতে হবে। তাৎক্ষণিক এবং দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক পাড়া-মহল্লায় টহল বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরাসরি মাঠে থেকে পুরো বিষয় মনিটরিং করতে হবে। কে কোন দলের এসব বিবেচনায় না নিয়ে অপরাধীকে ধরতে হবে। তাহলেই মবের নামে চলতে থাকা অনাচার বন্ধ করা যাবে।
এ প্রসঙ্গে সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যখন ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়, তখনই জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চায়। এছাড়া মানুষ ক্ষোভ প্রশমনের জন্য অনেক সময় আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে চলেছে। অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বেশকিছু পদক্ষেপ। কিন্তু আশ্বস্ত হওয়ার মতো ব্যবস্থা মানুষ এখনো দেখছে না, তাই বাড়ছে আস্থাহীনতা। এটিও মব সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করছে।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বুধবার বলেন, কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচারের বিধান রয়েছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ কারও নেই। কোনো ব্যক্তি অন্যায় কিংবা অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। কোনো ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধের মুখোমুখি হলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অথবা কাছের থানায় যোগাযোগ করতে পারেন। পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি মব মোকাবিলায় জনগণকেও আরও সচেতন হতে হবে।
ঊষার আলো-এসএ