UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গতবারের চেয়ে বেশি ধান ও চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা সরকারের

ঊষার আলো
এপ্রিল ২১, ২০২১ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : করোনা সংকট মোকাবিলায় চলতি বছরে বোরো মৌসুমে গতবারের চেয়ে বেশি ধান ও চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। লটারির মাধ্যমে বেশি দামে সরাসরি ২০ লাখ টনেরও বেশি খাদ্যশস্য কেনা হবে বলে জানিয়েছে কৃষিমন্ত্রী। ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সরকারের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বছরে কারসাজি ঠেকাতে মিলারদের ওপর নজরদারির পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
গত বছরের চেয়ে এ বছর ১ লাখ হেক্টর বাড়িয়ে দেশের ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ৫ লাখ টন। হাওর অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেছে এই ধান। গত বছর ২৬ টাকা কেজি দরে ৮ লাখ টন ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং ২৮ টাকা কেজি দরে ৭৫ হাজার টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মহামারিতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার আরো বেশি খাদ্যশস্য সংগ্রহের পাশাপাশি প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে ধান কেনার কথা জানিয়েছে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, ক্ষুদ্র চাষিদের থেকে আমরা ধান কিনব। লটারির মাধ্যমে আমরা ধান কিনব। যাতে রাজনৈতিক বা সামাজাকি প্রভাব খাটিয়ে কেউ যাতে সরকারকে বেশি দামে ধান না দিতে পারে।
দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ছে অসংখ্য মানুষ। এ অবস্থায় খাদ্য ঘাটতি ঠেকাতে মজুত বাড়ানো এবং ক্ষুদ্র চাষিদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার তাগিদ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলেছেন, করোনা ঢেউয়ে যেহেতু সাধারণ মানুষের খাদ্যের সংকট হতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকারকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। লটারির মাধ্যমে যে চাল কেনার চিন্তা করছে এখানেও একটু ভাবতে হবে যে, এখানে সবাই অংশগ্রহণ করবে কিনা।
তাদের মতে, আমদানি করা চালের কারণে কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আর রাইস মিলারদের কারসাজিতে দাম যাতে লাগাম না ছাড়ায় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। তবে বড় মিলারদের সিন্ডিকেটের কারণে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে না থাকার অভিজ্ঞতা থেকেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী। প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের অতিরিক্ত খাদ্য সহায়তার ফলে ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিলে, দ্রুত আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।

(ঊষার আলো- এম.এইচ)