ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এবার স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান পুনরায় শুরু করেছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজাকে বিভক্তকারী নেটজারিম করিডোর দখলের জন্য এই অভিযান চালিয়েছে। হামলাকে ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক’ অভিযান বলে উল্লেখ করা করেছে তারা। এরই মধ্যে তারা ওই করিডোরের দখল নিয়েছে।
গত মাসে যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইল এই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছিল।
২০২৩ সালের অক্টোবরে সংঘাত শুরুর পর থেকে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে নতুন এই হামলা। এই হামলা কার্যত জানুয়ারি থেকে কার্যকর থাকা যুদ্ধবিরতি চূর্ণ করেছে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই স্থল অভিযান এবং নেটজারিম করিডোরে প্রবেশকে ‘নতুন এবং গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, ইসরাইলি ট্যাংক প্রথমবারের মতো গাজা সিটির দক্ষিণে নেযারিমের কাছে সালাহ আল-দিন স্ট্রিটের পৌঁছেছে এবং চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, আল-দিন স্ট্রিট রুটের ধরে দক্ষিণ দিকে যান চলাচল খোলা রয়েছে, যা আগে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীরা যানবাহনে উত্তরে ফিরে আসার জন্য ব্যবহার করত। গাজার পশ্চিমে উপকূলীয় আল-রশিদ স্ট্রিটটি এখনো খোলা রয়েছে, যেখানে মানুষ হাঁটতে পারে এবং উত্তর দিকে যেতে পারে।
এটি বন্ধের কারণ হিসেবে ইসরাইল জানিয়েছে, এটি হামাস এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করার জন্য, বিশেষ করে যেহেতু ইতোমধ্যে হাজার হাজার গাজাবাসী ইসরাইলি সেনাবাহিনী নেযারিম করিডর থেকে প্রস্থানের পর দক্ষিণ থেকে উত্তর গাজায় চলে গেছে।
হামাস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপকে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তির পূর্ণ বিপর্যয় করেছে, যা গাজার অবরোধ আরও শক্তিশালী করেছে এবং এখানকার জনগণের জীবন আরও সংকটপূর্ণ করেছে।
ঊষার আলো-এসএ