নরওয়েতে একটি সাদা বেলুগা তিমির মৃত্যু হয়েছে। তিমিটির মৃত্যু ঘিরে নরওয়েতে একটি রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণী অধিকার গোষ্ঠীগুলি অনুমান করছে, তিমিটিকে হত্যা করা হতে পারে। বেলুগা প্রজাতির এই তিমিটির ডাকনাম ছিল হভালদিমির।
হভালদিমির ২০১৯ সালে সবার নজরে আসে শরীরে ক্যামেরাসহ ধরা পড়ার পর। প্রাণীটি রাশিয়ান সামরিক বাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছিল তখন।
দুটি নরওয়েজিয়ান প্রাণী অধিকার গোষ্ঠী বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) অভিযোগ করেছে যে দক্ষিণ নরওয়েতে মৃত অবস্থায় পাওয়া হভালদিমিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
প্রাণী অধিকার সংস্থা ওয়ানহোয়েল এবং নোয়াহ একটি ফৌজদারি তদন্তের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। ওয়ানহোয়েল জানিয়েছে, প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যায় হভালদিমির গুলির আঘাতে নিহত হয়েছে।
ওয়ানহোয়েল সংস্থাটি নিজেকে ‘হভালদিমিরকে’ রক্ষা করতে এবং তাকে বেলুগাসের বন্য জনগোষ্ঠীতে স্থানান্তরিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বর্ণনা করেছিল।
ওয়ানহোয়েল আরও বলেছে, “বেশ কিছু পশুচিকিত্সক, জীববিজ্ঞানী এবং ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞরা হাভালদিমিরের আঘাতের পর্যালোচনা করে এটি নির্ধারণ করেছেন যে তিমির মৃত্যু একটি অপরাধমূলক কাজের ফলাফল ছিল। “
হভালদিমিরের মৃত্যুর আগে, ওয়ানহোয়েল এবং নোয়াহ তাকে উত্তর নরওয়ের একটি নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তর করার জন্য সহযোগিতা করছিলেন এবং নরওয়েজিয়ান ডিরেক্টরেট অফ ফিশারিজ থেকে অনুমতি পেয়েছিলেন।
নরওয়েজিয়ান পাবলিক ব্রডকাস্টার এনআরকে জানিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ নরওয়ের রিসাভিকা উপসাগরে তিমির মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
২০১৯ সালে, বিশেষজ্ঞরা সিএনএনকে বলেছিলেন যে হাভালদিমির একটি প্রশিক্ষিত প্রাণী ছিল এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রমাণ দেয় যে তিমিটি রাশিয়া থেকে এসেছিল।
নরওয়ের মৎস্য অধিদপ্তরের একজন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী জর্জেন রি উইগ, সিএনএনকে বলেছেন, গলায় থাকা বেল্ট বিশেষভাবে তৈরি ছিল এবং এর প্রতিটি পাশে ক্যামেরা ছিল। ওই বেল্টে পাওয়া মেসেজে লেখা ছিল “সরঞ্জাম সেন্ট পিটার্সবার্গ”। বিষয়টি দিয়ে অনুমান করা যায় যে তিমিটি রাশিয়ার মুরমানস্ক থেকে এসেছে এবং রাশিয়ান নৌবাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত ছিল।