গত ১৬ বছরে গুম, খুন ও ক্রসফায়ারে জড়িত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় ‘শহিদী মার্চ’ পালন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে জুলাই মঞ্চ নামের একটি সংগঠন।
সংগঠনের প্রতিনিধি সাকিব হোসাইন বলেন, র্যাব বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি আতঙ্কের নাম। তাদের কর্মকাণ্ডের ফলাফল হিসেবে জাতিসংঘ এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো প্রতিষ্ঠান বাহিনীটিকে নিষিদ্ধের পরামর্শ দিয়েছে। গুম কমিশনের তথ্য মতে, ১৬শ গুমের অভিযোগের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৭৩টি অভিযোগ এসেছে এই র্যাবের বিরুদ্ধে। বাহিনীর বর্তমান ডিজি নিজেও গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের ৭ মাস পার হলেও এখনো জড়িত সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করেনি র্যাব। পাশাপাশি ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে র্যাবের যারা গণহত্যায় জড়িত হয়েছিলেন, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।
আরেক প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বর্তমানে প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না। স্বৈরাচারের আমলে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত জুলাই মঞ্চের কর্মসূচি চলবে।
জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি অর্নব হুসেইনের সঞ্চালনায় শহিদী মার্চে আরও বক্তব্য দেন- মুতাছিরুল ইসলাম, মুন্তাজুল ইসলাম, সুরাইয়া আন্তা, আব্দুল নুর তালুকদার, মিনহাজ, ইসমাইল শান্তা ও ফুহাদ হাসান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত জুলাই গণহত্যার বিচার, গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ-যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা, গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে ‘জুলাই মঞ্চ’। জুলাই আন্দোলনে আশুলিয়া এলাকায় ৭ জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ১০ মার্চ আশুলিয়া থানার সামনে প্রথম শহিদী মার্চ পালন করে এই মঞ্চ।
ঊষার আলো-এসএ