মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নারীর লাশ রেখে তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। এর জন্যই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।
রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জেসমিন (২৫) উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ গ্রামের শাহালম হাওলাদারের মেয়ে এবং পৌর এলাকার মোল্লাকান্দি গ্রামের আমির মাতুব্বরের ছেলে ইতালি প্রবাসী রানা মাতুব্বরের স্ত্রী।
হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে ইতালি প্রবাসী রানার সঙ্গে জেসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগে ছিল। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন জেসমিন।
রোববার সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় জেসমিনকে রাজৈর হাসপাতালে নিয়ে আসে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে লাশ রেখেই পালিয়ে যান তারা। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যায় জেসমিনের পরিবারের সদস্যরা। পরে হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে রাজৈর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহতের চাচা সাইফুল হাওলাদার বলেন, ‘এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বিয়ের পর থেকেই জেসমিন পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল। আমরা বারবার আপসের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো ফল পায়নি।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ঊষার আলো-এসএ