তিতাস গ্যাসের পাইপে অসংখ্য ছিদ্রের কারণে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে গ্যাসলাইনের পাইপ ছিদ্র হয়ে প্রতিনিয়ত নির্গত হচ্ছে গ্যাস। প্রায়ই আগুন লেগে ঘটছে দুর্ঘটনা। তিতাস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও সংস্কার করা হচ্ছে না এসব ছিদ্র।
ফতুল্লার সস্তাপুর, কোতালেরবাগ, কুতুবআইল, কায়েমপুর, লালখাঁ, শিহাচর, ইসদাইর, মাসদাইর, মুসলিমনগর, ধর্মগঞ্জ, পাগলা, কুতুবপুর এলাকাসহ প্রায় সড়কের পাশে গ্যাস লিকেজ থেকে প্রতিনিয়ত শোঁ শোঁ শব্দ করে গ্যাস নির্গত হয়।
বৃষ্টির পানি জমলে বুঁদবুঁদ করে পানি উতড়ে উঠে। তখন প্রতিটি স্থানের লিকেজ দেখা যায়। এখন যেসব সড়কে পানি জমে আছে সুধু সেখানেই লিকেজ দেখা যাচ্ছে। কল কারখানা বন্ধ থাকলে শোঁ শোঁ শব্দের গতি তীব্র আকার ধারণ করে। এ থেকে প্রায় সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তখন ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে গ্যাস অফিসকে অবগত করেন। এভাবেই কয়েক বছর ধরে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ফতুল্লাবাসী।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন বলেন, তিতাস গ্যাসের সার্ভিস লাইনের পাইপ ফতুল্লার প্রায় এলাকায় লিকেজ রয়েছে। আর এ থেকে প্রায় সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি ফতুল্লার চানমারী এলাকায় জেলা পরিষদের কাছে সড়কে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে।
এতে কোন হতাহত না হলেও আগুনের লেলিহান শিখা অনেক উপড়ে উঠে যাওয়ায় আশপাশের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণ করে গ্যাস অফিসকে অবগত করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস অফিসকে বারবার জানানো হয়েছে লিকেজ গুলো মেরামত করার জন্য।
নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস অফিস সূত্রে জানা যায়, ৩০/৩৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করেছে। এই পুরনো পাইপলাইন দীর্ঘদিনেও আর সংস্কার করা হয়নি। মাটির নিচে থাকার কারণে গ্যাসলাইনের রিবন নষ্ট হয়ে পাইপ মাটির সংস্পর্শে এসে এমন ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এসব লাইন সংস্কার বা নতুন করে পাইপ বসানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ পাইপ দিয়ে গ্যাস সরবরাহের কারণে প্রতিনিয়ত গ্যাস নির্গত হয়ে খনিজ সম্পদের অপচয় হচ্ছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস ফতুল্লা অঞ্চলের ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান বলেন, গ্যাস লিকেজের বিষয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। যতদিন ব্যবস্থা না হয় ততদিন গ্যাস লিকেজের স্থানে সর্বসাধারণকে চলাচলে সতর্ক থাকার অনুরোধ রইল।
ঊষার আলো-এসএ