UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রাম ও শহরের ব্যবধান কমছে ধীরগতিতে

usharalodesk
জুলাই ২৪, ২০২৩ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : গ্রাম ও শহরের মধ্যে ব্যবধান কমছে খুব ধীরগতিতে। প্রায় সব খাতেই গ্রাম ও শহরের বৈষম্য বিদ্যমান। শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষের সুযোগ-সুবিধা আগের মতোই এখনো অনেক কম। মানসম্মত চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থারও অভাব। এ ধরনের সেবার জন্য গ্রামের মানুষকে ছুটতে হয় শহরে। ক্যানসার, উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের নজির গ্রামের মানুষেরই বেশি। শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের আয় কম। অথচ মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এমন কি খাদ্য উৎপাদন হলেও এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার গ্রামেই বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। গ্রাম থেকে টাকা এনে শহরের ঋণের জোগান বাড়ানো হচ্ছে। অথচ গ্রামে ঋণপ্রবাহ কম। কিন্তু আমানতের প্রবৃদ্ধির হার বেশি। গ্রামে কর্মোপযোগী মানুষ বেশি থাকলেও স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ কম। ফলে শ্রমশক্তির বড় অংশই স্বকর্ম বা খণ্ডকালীন শ্রমে নিয়োজিত। এতে তাদের আয়ের কোনো ধারাবাহিকতা নেই। এসব মিলে গ্রামের মানুষ এখনো ভালো নেই। তারা বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে। বিবিএস’র তথ্য, বিআইডিএস’র গবেষণা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিবেদন এবং বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশের মোট আয়তন ১ লাখ ৪৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকা ১ লাখ ৩৩ হাজার বর্গকিলোমিটার এবং শহুরে এলাকা ১৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার। শহরের আয়তনের চেয়ে গ্রামের আয়তন ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার বেশি। অর্থাৎ প্রায় ৯ গুণ বেশি। শহরের চেয়ে গ্রামে জনসংখ্যাও বেশি। এ হিসাবে উন্নয়নের সুবিধা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে হলে গ্রামীণ উন্নয়নের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কিন্তু তা হচ্ছে না। গ্রামের চেয়ে শহরের উন্নয়নই দ্রুত ও বেশি হচ্ছে। এর সুবিধাও পাচ্ছেন শহরের মানুষ। গ্রামকেন্দ্রিক যেসব উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই এর সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। স্কুল থাকলেও শিক্ষক কম। কমিউিনিটি ক্লিনিক বা হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তার-নার্স নেই। সেতু নির্মিত হলেও সংযোগ সড়ক নেই। বিনিয়োগের প্রবাহ কম। ফলে স্থায়ী কর্মসংস্থানও কম।

২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল ‘আমার গ্রাম আমার শহর’র আওতায় শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছেনি। আর যেগুলো পৌঁছেছে তার সেবার মানও শহরের মতো ভালো নয়।

তবে পরিকল্পনা কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এর আওতায় গ্রামে উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ অবকাঠামো, সুপেয় পানির নিশ্চয়তা, প্রতিটি গ্রামে কমিউিনিটি ক্লিনিক ও বিনোদনের ব্যবস্থা সমন্বিত কাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে নির্মাণ করা হয়েছে ডিজিটাল কেন্দ্র। যেখান থেকে গ্রামের মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পাচ্ছেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেও শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়ে বেশি সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ঢাকার আশপাশের উপজেলাগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ সময়সাপেক্ষ। দীর্ঘ যানজট ও মেইল বা লোকাল ট্রেন সার্ভিসের অপ্রতুলতাই এর কারণ। সুপেয় পানির ব্যবস্থা হয়নি। যে কারণে পানিবাহিত রোগে গ্রামের মানুষ বেশি ভোগেন। ভালো স্যানিটারি ব্যবস্থাও নেই। ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগই অচল। অথচ এর পাশেই বেসরকারিভাবে অনেক বাণিজ্যিক তথ্যপ্রযুক্তির সেবা দেওয়ার প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে।

বিশ্লেষকরা জানান, শহরের মানুষের খাদ্যের জোগান আসে গ্রাম থেকে। খাদ্যের জোগানদাতা হিসাবে গ্রামের মানুষেরই বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে এমনটা হচ্ছে না। তারা বরং অবহেলিত ও বঞ্চিত। ফলে কোনো পরিবার একটু সক্ষমতা অর্জন করলেই শিক্ষার জন্য সন্তানদের শহরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এমনকি সপরিবারে শহরে চলে আসার নজিরও আছে ভূরি ভূরি। ভালো চিকিৎসা গ্রামে নেই বললেই চলে। উলটো আছে ভুল চিকিৎসার ছড়াছড়ি। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় ও সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপে গ্রামের স্বাস্থ্যসেবার ভয়াবহতা ফুটে ওঠেছে।

তারা বলেন, গ্রামে চাল-ডাল, শাক-সবজি, মাছ-মাংস, দুধ-ডিম, ফল ও শিল্পোজাতপণ্য উৎপাদন হচ্ছে। অর্থনীতির নিয়মে পণ্য যেখানে উৎপাদন হয় সেখানে সরবরাহ বেশি থাকে। যে কারণে দামও কম থাকে। এ কারণে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার কম থাকার কথা। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার আরও কম থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে মিলছে উলটো চিত্র। কৃষক পর্যায় ছাড়া গ্রামে পণ্যের দাম বেশি। ফলে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হারও বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে জুনের তথ্য অনুযায়ী, শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, শহরে এ হার ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি গ্রামে কম হওয়ার কথা। কিন্তু এ হারও গ্রামে বেশি। জুনে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং শহরে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হারও গ্রামে বেশি, শহরে কম।

এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, গ্রামীণ কাঠামোতে ইতোমধ্যেই বড় ধরনের একটি পরিবর্তন হয়ে গেছে। যে কারণে তথ্য-উপাত্ত আর স্বাভাবিক আচরণ করছে না। এগুলো নিয়ে এখন গবেষণা করা উচিত। দেখা দরকার শহর ও গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রায় কি ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন, সামাজিকতার মতো বিষয়গুলোও থাকা দরকার।

বিবিএস’র হিসাবে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের আয় কম। গ্রামে পরিবারপ্রতি আয় মাসে গড়ে ২৬ হাজার ১৬৩ টাকা। অথচ প্রতি মাসে খরচ করে ২৬ হাজার ৮৪২ টাকা। অর্থাৎ আয়ের চেয়ে খরচ বেশি। আবার মূল্যস্ফীতিজনিত টাকা ক্ষয়ের দিক থেকে গ্রামই এগিয়ে। একদিকে পণ্যের দাম বেশি, অন্যদিকে আয় কম।

শহরে পরিবারপ্রতি খরচ ৪১ হাজার ৪২৪ টাকা। আয় ৪৫ হাজার ৫৭৫ টাকা। এ হিসাবে শহরের মানুষের কিছুটা সঞ্চয় থাকে। আর গ্রামের মানুষ থাকে ঘাটতিতে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্য উৎপাদন করেও কৃষক ধরে রাখতে পারেন না। সঙ্গে সঙ্গে তা বিক্রি করে আগের ধারদেনা শোধ করেন। ফলে উৎপাদিত পণ্য ধান-চাল চলে যাচ্ছে একটি গ্রুপের হাতে। এ ধান বা চাল যখন কৃষক তার নিজের প্রয়োজনে কেনেন তখন আবার বেশি দামে কিনতে হয়। শাক-সবজি যেগুলো উৎপাদন হয়, তার বেশিরভাগই চলে আসে শহরে। ফলে গ্রামের হাটবাজারে এসব পণ্যের দাম একেবারে উৎপাদনস্থলে কম হলেও একটু দূরে গেলেই বেড়ে যায়। এজন্য গ্রাম ও শহরের ব্যবসায়ীদের মনোপলি ব্যবসাকে দায়ী করা হচ্ছে।

আবার গ্রামের অনেক স্থানে কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তারা পাইকারি বাজারে পণ্য নিয়ে পাইকার না পেয়ে বা প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে ফেলে রেখে যাচ্ছেন। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় খামারিরা দুধের ভালো দাম না পেয়ে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেছেন এমন নজিরও আছে।

বিবিএস’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালে ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার কমলেও এখনো শহরের চেয়ে গ্রামে দারিদ্র্যের হার বেশি। অতি দারিদ্র্যও গ্রামেই বেশি। দেশের মোট দারিদ্র্যের ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ শহরে এবং গ্রামে ২৫ দশমিক ৯ শতাংশের বাস। সরকারের নেওয়া বহুমুখী পদক্ষেপের ফলে শহরের চেয়ে গ্রামে দারিদ্র্য বেশি হারে কমছে। গ্রামে কমছে ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং শহরে কমছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

জুনে প্রকাশিত বিবিএস’র প্রতিবেদন অনুযায়ী শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষের নানা ধরনের জটিল রোগে বেশি আক্রান্ত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন গ্রামের ১২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ, শহরে এ হার ৮ শতাংশ। উচ্চরক্তচাপে ভোগেন গ্রামের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ, শহরে এ হার ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

ক্যানসারের মতো মরণব্যাধিগুলোও গ্রামে হচ্ছে বেশি। এর মধ্যে লিভার ক্যানসার ও ব্লাড ক্যানসার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। গ্রামের ৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। শহরে এ হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ব্লাড ক্যানসারে ভোগেন গ্রামের ৩ শতাংশ মানুষ। শহরে এ হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ। সাধারণ জ্বরে ভোগেন গ্রামের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ এবং শহরের ৩ দশমিক ২ শতাংশ। নিউমোনিয়ায় ভোগেন গ্রামের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহরে এ হার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।

হাঁপানিতে ভোগেন গ্রামের ৭ দশমিক ২ শতাংশ ও শহরের ৩ শতাংশ মানুষ। জন্ডিসে ভোগেন গ্রামের ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং শহরের ১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ।

বিদ্যুৎ ব্যবহারেও শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ পিছিয়ে। বিবিএস’র তথ্য তথ্যানুযায়ী গ্রামের ৯৯ দশমিক ১০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। শহরের বিদ্যুৎ ব্যবহারের হার ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। আগের চেয়ে শহরে ও গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবহারের হার বেড়েছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে লোডশেংডিং বেশি।

শহরের চেয়ে গ্রামের পরিবহণ খরচও বেশি। বিবিএস’র হিসাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা খরচ করে গ্রামে যে পরিবহণ সেবা পাওয়া যায়, শহরে তা পেতে খরচ হয় ১১০ টাকা ২৪ পয়সা।

মার্চ পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, মোট আমানতের জোগানের মধ্যে ৭৯ শতাংশ শহরের, ২১ শতাংশ গ্রামের। এর বিপরীতে মোট ঋণের ৮৮ শতাংশ দেওয়া হয় শহরে, গ্রামে ১২ শতাংশ। আগে গ্রামে ঋণের হার আরও কম, আমানতের হার বেশি ছিল। অর্থনৈতিক মন্দায় গ্রামের মানুষের আয় কমায় সঞ্চয় কমে গেছে। অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রণোদনার জোগান বাড়াতে সরকার নানামুখী তহবিল গঠন করেছে। সেগুলো থেকে গ্রামে কম সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এতে ঋণের প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চে শহরে আমানত বেড়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, একই সময়ে গ্রামে বেড়েছে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। শহরের চেয়ে গ্রামে আমানতের জোগান বেশি বাড়ছে। একই সময়ে শহরে ঋণ বেড়েছে দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং গ্রামে বেড়েছে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গ্রামে ব্যাংকিং সেবার পরিধি বাড়ছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং সেবার পরিধি বেশি বাড়ছে। ব্যাংকের মোট শাখার ৫১ শতাংশ শহরে, গ্রামে ৪৯ শতাংশ। সরকারি ব্যাংকের ১৬ শতাংশ শহরে, গ্রামে ১৯ শতাংশ শাখা। বেসরকারি ব্যাংকের ৩১ শতাংশ শহরে, গ্রামে ১৮ শতাংশ।

মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রসার বেশি ঘটছে গ্রামে। মোট এজেন্টের মধ্যে ১৪ শতাংশ শহরে, ৮৬ শতাংশ গ্রামে। হিসাবধারীদের মধ্যে ১৪ শতাংশ শহরে ও গ্রামে ৮৬ শতাংশ।

বিবিএস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট শ্রমশক্তির ৪০ দশমিক ৬ শতাংশই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। কৃষির প্রায় পুরোটাই গ্রামে। সেবা ও শিল্প খাতের একটি অংশও গ্রামে রয়েছে। ফলে শ্রমশক্তির বড় অংশই গ্রামে।

ঊষার আলো-এসএ