ঊষার আলো প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে খুলনায়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় খুলনায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ২৮৩ আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি, স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার ব্রিগেডকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকেই জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে কয়েক ফুট আর এ কারণেই বাঁধের কানায়-কানায় উঠেছে পানি। কোথাও-কোথাও বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। নদীর জোয়ারের পানি বাড়ছে, মেঘলা আকাশের সঙ্গে মাঝেমধ্যে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা এলাকার মানুষ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আর সমুদ্রের ট্রলারগুলোকে দুবলার চরের সন্নিকটে অবস্থান করা জন্য আর বাকি ট্রলারগুলোকে উপকূলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।
কয়রা উপজেলা প্রশাসন বলছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় তারা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। শারীরিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ঘূর্ণিঝড়ে কয়রার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম। এরই মধ্যে কয়রাবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।
তবে খুলনা মহানগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তেমন কোনো প্রভাব নেই, সকাল থেকে থেমে-থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)