UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণের ‘মূলহোতা’ গ্রেফতার

ঊষার আলো রিপোর্ট
জুন ১৭, ২০২৫ ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি লিটন মিয়াকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র‌‍্যাব। সোমবার রাত ১২টার দিকে র‌্যাব-৯, সিলেট সদর কোম্পানি ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ আভিযানে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন জালালপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌‍্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে  বিষয়টি জানানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে হেলপার লিটনকে ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা দাবি করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া লিটন বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। এর আগে একই ঘটনায় গ্রেফতার হন বাস চালক সাব্বির মিয়া (২৭)। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের ফকির আলীর ছেলে।

পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। রোববার ঢাকা থেকে দাদার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে যাওয়ার জন্য বিলাশ পরিবহণের একটি বাসে ওঠে ঘুমিয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। বাস থেকে শায়েস্তাগঞ্জ নামার কথা থাকলেও ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় বাসটি সিলেটে চলে যায়। পরে সিলেট থেকে নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার জন্য সিলেট থেকে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামক একটি বাসে উঠে ওই ছাত্রী।

বাসটি বিভিন্ন স্টপেজ থেকে যাত্রী উঠানো-নামানোর সময় ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে পড়ে। শেরপুর এলাকায় পৌঁছার পর অন্যান্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসে ওই তরুণী একা হয়ে পড়েন। তখন একা পেয়ে প্রথমে বাসের হেলপার ও পরে চালক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

বাসটি উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে ওই তরুণী চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ছালামতপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের গতিরোধ করে বাসচালক  সাব্বির মিয়াকে আটক এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তবে, অভিযুক্ত হেলপার লিটন মিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সোমবার সকালে ছাত্রী নিজেই নবীগঞ্জ থানায় সাব্বিরকে প্রধান ও লিটনকে দ্বিতীয় আসামি করে মামলা করেন। পরে ওই তরুণীকে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঊষার আলো-এসএ