UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরি দেয়া প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য আটক

ঊষার আলো
এপ্রিল ১০, ২০২১ ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : মাদারীপুরের সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে এনএসআই’তে চাকরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের ৪ সদস্যকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশ দিয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, খুলনার পাইকগাছার লস্কারপুরের রবিউল ইসলামের ছেলে মাসুদ পারভেজ (২৯), বরগুনার পাথরঘাটার জালিয়াঘাটা এলাকার আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে শাহীন হাওলাদার (৩২), শাহীন হাওলাদারের কথিত স্ত্রী মোসাম্মদ শিরিন বেগম ও মাদারীপুর সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইউম।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়, সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের আব্দুল হালিমের ছেলে রনি হোসেনকে এনএসআই’তে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইউম মোটা অংকের ঘুষ দাবি করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে আব্দুল কাইউম রনির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। পরে শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে কাইউমের বাড়িতে আসে মাসুদ পারভেজ তাকে ভুয়া সেনাবাহিনীর কর্নেল সাজিয়ে রনির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় কাইউম। তাদের সাথে থাকা শাহীন ও শিরিন নামের অপর দুইজনকেও সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন সেই হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে রনি ও আশাপাশের লোকজন মিলে ৪ জনকে আটক করে সদর মডেল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী রনি হোসেন জানান, আমার কাছ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে কাইউম। পাশাপাশি আমার মাথার চুল তারাই মেশিন দিয়ে ছোট করে কেটে দিয়েছে। এছাড়া মেডিকেল পরীক্ষাও তারাই প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন করেছে। যা সবই ভুয়া ও প্রতারণা। বিষয়টি বুঝতে পেরে থানা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে প্রতারকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, আটক ৪ প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামী রয়েছে আরও একজন। সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আটককৃতরা গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে চাকরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিতো। এসব চক্রের কাছ থেকে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

(ঊষার আলো-এমএনএস)