মণিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে চার চাচি শাশুড়ির হামলা ও মারপিটে গুরুত্বর আহত হয়েছেন পিংকি খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূ। মরপিটের শিকার হয়ে ছয় ঘন্টা ধরে জ্ঞান হারা ছিলেন ওই নারী। সোমবার (১৪জুন) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এরপর মণিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জ্ঞান ফেরে গৃহবধূর। পিংকি রঘুনাথপুর গ্রামের মাসুদ পারভেজের স্ত্রী। এই ঘটনায় মণিরামপুর থানায় আট জনকে আসামি করে অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর স্বামী। অভিযুক্তরা হলেন, পিংকির তিন চাচা শ্বশুর মনির হোসেন, সহিদুজ্জামান ও নুরুজ্জামান, চার চাচি শাশুড়ি শিরিনা খাতুন, নাহার বেগম, পারুল বেগম ও শারমিন আক্তার এবং দেবর জাহিদ হোসেন। পিংকি মণিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মাসুদ বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে সহিদুজ্জামানের হুকুমে মনির ও তার ছেলে জাহিদ আমার স্ত্রীর হাত ধরে রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে নুরুজ্জামানের বাড়ি ঢুকিয়ে ফেলে। প্রথমে মনির ও জাহিদ মারপিট শুরু করে। এরপর চার চাচি শাশুড়ি মিলে তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। একপর্যায় আমার স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা আরো মারপিট করে। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আমার স্ত্রী। পরে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসা চলার পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পিংকির জ্ঞান ফেরে।
মণিরামপুর হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স বন্দনা নন্দি বলেন, মারপিটের ঘটনায় ভর্তি হওয়া গৃহবধূর চিকিৎসা চলছে। তার গায়ে প্রচন্ড ব্যাথা রয়েছে।
খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম রসুল বলেন, মারপিটের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। গৃহবধূকে খুব মারপিট করা হয়েছে বলে প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঊষার আলো-আরএম)