বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য নিয়ে এখনও সরকারের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। অথচ সরকার চামড়া রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো।
সোমবার বিকালে যশোরের রাজার হাটের পশুর কাঁচা চামড়া আড়ত পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময়ে তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে দেশের চামড়া শিল্পে ব্যাপক নৈরাজ্য হয়েছে এবং এর ফলে শিল্পটির চরম অধঃপতন হয়েছে। এখাতে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, তা নির্মূলে সরকার কাজ করছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কন্ট্রোল টিমও সক্রিয় রয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের চামড়া শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। চামড়ার যৌত্তিক মূল্য নিশ্চিত ও মূল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে লবণ বিতরণ করেছে। চামড়ার দাম বাড়াতে সংরক্ষণের জন্য ৭ লাখ ৫০ হাজার মন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ চামড়ার মূল্য নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ীর চামড়া সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তারা সেটি নষ্ট করেছেন। ফলে কাঙ্খিত মূল্য পাননি।
উপদেষ্টা বলেন, ট্যানারি মালিকদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার ঈদের আগেই দুইশত ২০ কোটি টাকার প্রণোদনা ছাড় করেছে। এতে করে চামড়া ব্যবসায়ীরা উপযুক্ত মূল্যে চামড়া ক্রয় করতে পারবেন। বাজার ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চামড়ার চাহিদা তৈরি হবে বলে তিনি আশা করেন।
এসময় যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান ও কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি যশোরের সাতমাইলস্থ বারীনগরে ইউএসডিএ এর অর্থায়নে স্থাপিত হিমাগার পরিদর্শন করেন। সকালে উপদেষ্টা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের নুরনগরস্থ আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭০বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদান এবং সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া আড়ত পরিদর্শন করেন।