UsharAlo logo
রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চার মামলায় ৩২মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন সম্রাট 

koushikkln
মে ১১, ২০২২ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জামিনের পর মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। দুদকের মামলাসহ মোট চারটি মামলায় ৩২ মাস কারাভোগ করলেন তিনি।

বুধবার (১১ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. মাহাবুবুল ইসলাম।

তিনি জানান, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির আদেশ পেয়েই সিসিইউ থেকে কারারক্ষী সরিয়ে নেওয়া হয়।
তবে সম্রাট এখনো হাসপাতালের সিসিইউতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক পরামর্শ দেবেন আর কত দিন থাকতে হবে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের এবং অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জামিন মঞ্জুর করেন।

পরদিন ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরের দিন ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।
এ ছাড়া একই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর এসআই আব্দুল হালিম। ওই বছরের ১২ অক্টোব রমনা থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে।