মণিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে এবারের কোরবানির ঈদে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু মজুত রয়েছে। চলতি বছরে উপজেলায় কোরবানির উপযোগী ২৬ হাজার ৬১৬টি পশু পালন করেছেন খামারিরা। যার মধ্যে গরু রয়েছে ১১ হাজার ৮৭১টি ও ছাগল ১৪ হাজার ৭৪৫। কোরবানিতে পশুর চাহিদা রয়েছে ২৪ হাজার ১৯৬। উপজেলার ১০ হাজার ২৬৩ জন ছোটবড় খামারি নিজেদের খামারে এই পশু পালন করেছেন। মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু মজুত থাকলেও করোনায় হাট বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন মণিরামপুরের খামারিরা। হাট বন্ধ হওয়ার খবরে তাদের হাসি মলিন হয়েছে। নিজেদের পশু বিক্রি নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তারা। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস খামারিদের হতাশা কমাতে অনলাইনে পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। উপজেলার জলকর রোহিতা গ্রামের প্রতিবন্ধী রবিউল ইসলাম এবারের ঈদে বিক্রির জন্য ৮-১০টি ছাগল পুষেছেন। হাট বন্ধের কথা শুনে চিন্তায় পড়েছেন তিনি। উপজেলার কাশিপুর গ্রামের শিক আকরাম হোসেন বলেন, চার বছর ধরে শংকর জাতের একটি ষাঁড় পালন করেছি। এখন তার ওজন প্রায় ৪০ মণ। এবারের কোরবানিতে ১৫ লাখ টাকায় ষাঁড়টি বেচার আশা। হাট বন্ধের খবর শুনে আমি হতাশ। অনলাইনে পশু কেনাবেচার কথা শুনছি। ষাঁড়টি অনেক বড় হলেও ছবিতে তেমন বোঝা যাচ্ছে না। সরাসরি ক্রেত না দেখাতে পারলে গরু বেচতে পারব না।
মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী বলেন, চাহিদার তুলনায় এবার মণিরামপুরে কোরবানির ছাগল গরুর মজুত বেশি। কোরবানিতে পশুর কোন ঘাটতি পড়বে না। তিনি বলেন, হাট বন্ধ থাকায় খামারিরা চিন্তায় পড়েছেন। তাদের চিন্তা দূর করতে যশোরের আট উপজেলা মিলে আমরা ‘অনলাইনে পশুরহাট যশোর’ শিরোনামে একটি ওয়েবসাইট খুলেছি। সেখানে বিক্রির উপযোগী পশুর ছবি ও মালিকের মোবাইল নম্বরসহ ঠিকানা আপলোড করা হচ্ছে। পশু পছন্দের পর ক্রেতারা মালিকের সাথে যোগাযোগ করে কিনতে পারবেন।
(ঊষার আলো-আরএম)