বিনোদন ডেস্ক : প্রয়াত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হকের দাফন সম্পন্ন। কেরানীগঞ্জে জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে।
বরেণ্য এই শিল্পীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রথমে তাকে নেয়া হয় ছায়ানটে। বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ রাজধানীর ছায়ানট ভবনে আনার পর সেখানে হক পরিবারের সদস্য ছাড়াও শেষ বিদায় জানাতে ছুটে আসেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয় মিতা হকের।
প্রয়াত অভিনেতা ও নির্দেশক খালেদ খান ছিলেন মিতা হকের স্বামী। খালেদ খান ও মিতা হক দম্পতির একমাত্র সন্তান ফারহিন খান জয়িতাও একজন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে মিতা হককে একুশে পদক দেয় সরকার। ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক পান তিনি।
১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন মিতা হক। চাচা রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন ও উস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শিখেছেন তিনি। ১৯৯০ সালে প্রকাশ হয়েছে তার প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। এরপর বাংলাদেশ ও ভারত থেকে মোট ২৪টি অ্যালবাম প্রকাশ হয়।
তিনি সুরতীর্থ নামে তিনি একটি গানের স্কুল পরিচালনা করতেন। পাশাপাশি ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনের রবীন্দ্র সংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন। রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন এ শিল্পী।
(ঊষার আলো-এমএনএস)