ঊষার আলো রিপোর্ট: ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে এবার মোট প্রার্থী রয়েছেন ১৬ জন। এদের মধ্যে বাইশগাঁও এক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে এবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন স্বামী-স্ত্রী। সেখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্বামীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্ত্রী।গত ৩ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে ৬ জানুয়ারি।
যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী। ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৯ জন ও তিনটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আলমগীর হোসেন দলীয় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও জান্নাত বানু স্বতন্ত্র প্রার্থী। আলমগীর হোসেন ও জান্নাত বানু স্বামী-স্ত্রী। এছাড়াও মহিন উদ্দিন নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। এক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে এবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন স্বামী-স্ত্রী।জানা গেছে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩ জানুয়ারি, বাছাইয়ের শেষ তারিখ ৬ জানুয়ারি । প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ জানুয়ারি ও ভোট গ্রহণ ৩১ জানুয়ারি।
ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে এবার মোট প্রার্থী রয়েছেন ১৬ জন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১১ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫ জন। এছাড়াও ৯৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য ১৩৮ জন ও সংরক্ষিত ৩৩টি ওয়ার্ডে নারী সদস্য ৪০ জন। প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ৩ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচন অফিস ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।এর মধ্যে বাইশগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলমগীর হোসেন ও স্বতন্ত্র মহিলা প্রার্থী জান্নাত বানু স্বামী-স্ত্রী।
স্বামী-স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে লড়াই করায় ওই ইউনিয়নের ভোটারদের বেশ গোলকধাঁধায় ফেলেছে। স্বামী আলমগীর হোসেন তার নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার, ব্যানার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালালেও তার স্ত্রী জান্নাত বানু এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা কিংবা গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি। এমনকি তার কোনো পোস্টার বা ব্যানারও চোখে পড়েনি।
এ বিষয়ে বাইশগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার সবার আছে। স্বামী-স্ত্রী বলে কোনো কথা নেই। উন্নয়নে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আবারো আমাকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত হলে এলাকার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করব ইনশাআল্লাহ।এ সময় তার স্ত্রীর প্রচার-প্রচারণার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।অপরদিকে স্ত্রী জান্নাত বানুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করার পরও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজির হোসেন মিয়া ও রিটার্নিং অফিসার রাজিবুল করিম, জায়েদুল ইসলাম চৌধুরী এবং কামাল হোসেনের কাছে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তারা জানান, মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নির্বাচনে ৩ জানুয়ারি সোমবার প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিলের করেন। ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের বাছাইয়ে চেয়ারম্যান, সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মোট ১৯৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।