ঊষার আলো রিপোর্ট : চাঁদা না পেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে হলে নিয়ে জিম্মি করে নির্যাতনের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা পুলিশ। তারা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসম্পাদক জনি হাসান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এসএম শফিক। তাদের শনিবার আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা কলেজের নর্থ হলের ১২০ নম্বর রুমে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করলে শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। মামলায় আরও ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী গোলাপ হোসেন, মোহেরাব হোসেন সিয়াম, অর্ণব, রমজান, গোপাল, রাব্বী তালুকদার, বেল্লাল হোসেন, তারিফ, সালমান, রায়হান, মাসুম, ফাহিম ও শাহীন।
দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফুজ্জামান ফারুক। এজাহারে মামলার বাদী মেহেদী হাসান উল্লেখ করেন, তিনি সিগমাইন্ড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেন।
অভিযুক্তরা ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় ২৫ মে সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বছিলা ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিষ্ঠানটির লাগানো সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে যান। খুলে নিয়ে আসা ক্যামেরা ফেরত পেতে তাকে ঢাকা কলেজের হলে যেতে বলেন ছাত্রলীগ নেতারা। এরপর তৌকির নামে এক কর্মচারীকে ঢাকা কলেজে পাঠান মেহেদী। ক্যামেরা ফেরত নিতে আসা তৌকিরকে জিম্মি করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পেলে তৌকিরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে মেহেদী ঢাকা কলেজের নর্থ হলে এলে তাকেও জিম্মি করা হয়। ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে মেহেদী ও তৌকিরকে হলে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেন তারা। মারধর করে তৌকিরকে ছেড়ে দিলেও মেহেদীকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের কারণে মেহেদীর অবস্থা বেগতিক দেখে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা কলেজ থেকে বের করে নিউমার্কেটের গাউছিয়া মোড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তারা। এ সময় নিউমার্কেট থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা মেহেদীকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন।
ঊষার আলো-এসএ
