UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবির আন্দোলনে উমামার কণ্ঠে একাত্মতা, ৩ দফা দাবিতে জোরালো সংহতি

ঊষার আলো রিপোর্ট
মে ১৫, ২০২৫ ৪:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। এর আগে গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে উমামা বলেছিলেন, ‘সাবধান, ছাত্রদের গায়ে যাতে একটা টোকাও না লাগে।’

আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি আগামী অর্থবছর থেকে কার্যকর করাসহ তিন দফা দাবি পূরণে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছে অবস্থান করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল তাদের ঘোষিত লংমার্চ কর্মসূচিতে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পুলিশ। এতে শিক্ষকসহ বহু শিক্ষার্থী আহত হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সৃষ্ট বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে পুরান ঢাকা অচল করে দিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  শুধু তাই নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে জবির শিক্ষার্থীরা অবদান রেখেছিলেন। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের অন্তর্বর্তী সরকার সেই শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক ফেসবুকে পোস্টে উমামা লিখেছেন, ‘আমি উমামা ফাতেমা, একজন ছাত্রনেতৃত্ব ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন অংশীদার হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করলাম।

তাদের ৩ দফা দাবিসমূহ:

১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।

২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।

৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

উমামা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যৃলয়ের আন্দোলন শুধু ছাত্রদের আন্দোলন না।  ভিসি, প্রক্টর থেকে শুরু করে সকল শিক্ষক, কর্মচারী এই আন্দোলনে যুক্ত।  গতকাল যমুনাতে যাওয়ার সময় ছাত্র-শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়, টিয়ারশেল ছোঁড়া হয়’।

ফেসবুক পোস্টে উমামা আরও লিখেছেন— ‘জুলাই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি প্রাঙ্গন থেকে আমরা প্রতিদিন মিছিল করতাম।  এই মিছিলে প্রতিদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুবিশাল মিছিল আসত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ভাই জুলাই আন্দোলনে শহিদ হয়েছে’।

‘কিন্তু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই অবদানকে সবসময় উপেক্ষা করা হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ছাত্রদের দিনের পর দিন হলের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। এই সরকারের আমলেও আমরা জগন্নাথের প্রাণের দাবিকে গুরুত্ব দিতে দেখছি না।  একটি বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে আবাসিক হল ছাত্রদের অধিকার। সেটার জন্য ২০ বছর ধরে আন্দোলন করতে হবে কেন?! আশা করি, দ্রুত এই ৩ দফা দাবি মেনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনসংকট সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে’।

ঊষার আলো-এসএ