ঊষার আলো ডেস্ক: জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলি ছুড়েছে এক বন্দুকধারী। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের পাল্টা গুলিতে ওই অজ্ঞাত বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন। তবে ওই বন্দুকদারির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনো।
গাজা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে প্রতিদিন মানুষের মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। এরইমধ্যে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৪ হাজারের মতো। এরইমধ্যে গত সেপ্টেম্বর থেকে ইসরাইলের অব্যাহত হামলা চলছে লেবাননেও। সবমিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে জনমানসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলির শব্দ শোনার পর জর্ডানের পুলিশ এর আগে পুলিশ দূতাবাসের কাছাকাছি এলাকা ঘিরে ফেলে।দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্স রাবিয়া এলাকায় ছুটে যায়, যেখানে ইসরাইলি দূতাবাস অবস্থিত।
এলাকাটি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঘন ঘন বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। গাজা যুদ্ধে ইসরাইল-বিরোধী মনোভাব বেশি থাকায় এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সাক্ষী হয়েছে সাম্প্রতিক সময়। তবে গুলির ঘটনা এবারই প্রথম।
নিরাপত্তা কর্মীরা অপরাধীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ বাসিন্দাদের তাদের বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
জর্ডানের ১ কোটি ২০ লাখের নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত, ১৯৪৮ সালে ইসরাইল সৃষ্টি হলে বহু ফিলিস্তিনি জর্ডানে পাড়ি জমান। অনেকেরই জর্ডান নদীর ইসরাইলি পাড়ে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।
ইসরাইলের সাথে জর্ডানের শান্তি চুক্তি অনেক নাগরিকের মধ্যে অজনপ্রিয়। তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্কের স্বাভাবিককরণকে তাদের ফিলিস্তিনি স্বদেশীদের অধিকারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসাবে দেখে।
ঊষার আলো-এসএ