ঊষার আলো ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এক রকম লেখা হয়ে গিয়েছিল ইউক্রেনের যুদ্ধের ফল। এরপরও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেষ চেষ্টা স্বরূপ ইউক্রেনকে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। তাতেও দমে যায়নি রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ সেনারা।
তার আগে, ট্রাম্প প্রশাসন জেলেনস্কিকে প্রস্তাবে জানিয়েছিল- গত প্রায় ৩ বছরের যুদ্ধে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রুশ বাহিনী দখল করেছে— সেসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ যদি রুশ বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া হবে।
সেই প্রস্তাবই এখন মেনে নেওয়ার কথা ভাবছে জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এই যুদ্ধের সহিংসতা-ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে চাই এবং ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল এখনও আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে— সেসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই— সেক্ষেত্রে আমাদের ন্যাটোর আশ্রয়ে যাওয়া প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথমে ন্যাটোর ছাতার তলায় যেতে চাই। তারপর ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল বেদখল হয়েছে, সেগুলো পুনরুদ্ধারে কূটনৈতিক পন্থায় অগ্রসর হতে চাই। আমার মনে হয়— এটা সম্ভব। তবে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করেছে, সেগুলোকে আমরা রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারি না। এটা অসম্ভব এবং ইউক্রেনের সংবিধানবিরোধী।’
এদিকে গত তিন বছরের যুদ্ধে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন— ইউক্রেনের এই চার প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে মস্কো। অন্যদিকে ন্যাটোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়া সম্ভব নয়।
ঊষার আলো-এসএ