UsharAlo logo
রবিবার, ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডায়াবেটিস, ম্যালেরিয়া জ্বর ও অ্যাজমাসহ প্রভৃতি কঠিন অসুখের চিকিৎসায় চিরতা

ঊষার আলো
জুলাই ৫, ২০২১ ৭:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : আদিকাল থেকেই চিরতা গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রোগ নিরাময়ে চিরতার সমস্ত গাছই ব্যবহার করা হয়। তবে এর শিকড় সবচেয়ে বেশি কার্যকর। চিরতা চর্ম রোগ ও জ্বর সারাতে এক উপকারী গাছ। এছাড়াও প্রভৃতি কঠিন অসুখের চিকিৎসাতেও চিরতা ব্যবহার করা হয়।

আসুন এর কিছু উল্লেখযোগ্য ভেষজ গুণ ও ব্যবহার সম্পর্কে জানা যাক-

হাঁপানির উপশম.

একজিমার সাথে যাদের হাঁপানি রয়েছে বা অর্শের রক্ত পড়াব বন্ধ হওয়ায় হাঁপানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অল্প ঠাণ্ডা লাগলে কিংবা ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি হয়ে হাঁপানির টানটা বেড়ে গেছে তারা আধা গ্রাম চিরতার গুঁড়ো ৩ ঘণ্টা অন্তর মধুসহ চেটে খাবেন। এর ফলে ২-৩ দিনের মধ্যে প্রবল হাঁপানি কমে যাবে।

অ্যালার্জি সারায়.

যাদের এলার্জি হয়ে শরীর চুলকায় বা চুলকানোর জায়গাটা ফুলে লাল হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে চিরতার রস সাহায্য করতে পারে। আগের দিন রাতে শুকনো চিরতা ৪-৫ গ্রাম পরিমাণ ১ গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন তা ছেঁকে দিনের মধ্যে ২-৩ বারে খেতে হবে। যেসব খাবার খেলে অ্যালার্জি হয় সেসকল খাবার খাওয়া যাবে না।

চুল ওঠা.

কোনও কারণই দেখা যাচ্ছে না অথচ রোজই মাথা থেকে প্রচুর চুল উঠছে। এখন চুল উঠতে উঠতে ঘন কেশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগের দিন রাতে ১ কাপ গরম পানিতে ৫ গ্রাম চিরতা ভিজিয়ে রেখে পরদিন সেই পানি ছেঁকে তা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেললে চুল ওঠা কমে যাবে। একদিন পর পর এভাবে চিরতার পানি দিয়ে মাথা ধুতে হবে। ৩-৪ বার এভাবে ধুতে পারলে চুল ওঠা অনেকটাই কমে যাবে।

কৃমি সারায়.

কৃমি হলে পেটের উপরের অংশটা মোচড়ায় ও ব্যথা করে। পেটে কৃমি হলে আধা গ্রাম চিরতার গুঁড়ো সকালে মধুসহ কিংবা চিনি মিশিয়ে চেটে খাবেন। এরপর চাইলে পানি খেতে পারেন। এতে করে কৃমির উপদ্রব চলে যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ.

চিরতা নিয়মিতভাবে খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে অথবা কমে। চিরতা দেহে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে থাকে। এক্ষেত্রে আগের দিন রাতে শুকনো চিরতা ৪-৫ গ্রাম পরিমাণ ১ গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন তা ছেঁকে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিতে হবে।

হৃদরোগের ঝুঁকি.

চিরতার মধ্যে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট আছে যা বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে দিতে পারে। এমনকি নিয়মিত চিরতা সেবনে ক্যানসার এবং হৃদরোগে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

রক্তশূন্যতা কমায়.

চিরতা দেহে রক্তকোষ গঠন করে ফলে চিরতা সেবনে রক্তশূন্যতা কমে যায়। এমনকি ঋতুস্রাবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তাও কমাতে পারে। কোথাও কেটে গেলে সে কাটা স্থানে চিরতার রস লাগিয়ে দিলে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ হয় এমনকি অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ, নাক দিয়ে রক্তপড়া এসবও চিরতা বন্ধ করতে পারে।

(ঊষার আলো-এফএসপি)