সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম মারা গেছেন। রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওই ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মাসুমা ইসলাম এখন টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো অফিসের রিপোর্টার ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। মাসুমা রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন। শিক্ষাজীবন থেকেই তার সাংবাদিকতা শুরু, পরে এটিকেই পেশা হিসেবে নেন।
২০২৩ সালের শেষের দিকে তিনি বিয়ে করেন। রাজশাহীতে স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে স্বামীসহ বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নূরজাহান হোটেলের উল্টোদিকে বাস থেকে নেমে সিএনজি ঠিক করার সময় দ্রুতগামী একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশা চালক, মাসুমা আক্তার ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন।
প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসায় উন্নতি না হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মাসুমা ইসলাম না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রাকিবুল হাসান রাজিব বলেন, ‘মাসুমার মরদেহ রাজধানীর বাবর রোডে মারকাজুল ইসলামে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে গোসল শেষে সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর মরদেহ নিয়ে তার নিকটাত্মীয়রা নাটোরের গুরুদাসপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।’
মাসুমা ইসলাম কঠোর পরিশ্রমী ও বিনয়ী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঊষার আলো-এসএ