সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : লকডাউনে দরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষেরা স্বভাবতই নিজেদের জীবন-জীর্বিকা নির্বাহ করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাস্ক না পরে বাইরের কাজ করতে ব্যস্ত। সম্প্রতি তরুণ ও শ্রমজীবীদের মাঝে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার পূর্বের বছরের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে সকল নাগরিকের মাস্ক পরিধান করা জরুরী। শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১টায় সাতক্ষীরার কেষ্ট ময়রার ব্রিজ মোড়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার মাস্ক বিতরণ কর্মসূচীতে এসব কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, জেলার প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। ওই মানুষগুলোর অধিকাংশই করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন না। তাদের মাঝে করোনার লক্ষণ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার উন্নয়নের ধারবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারের জন্য সকল-শ্রেণি-পেশার মানুষকে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে সেই পদক্ষেপগুলোকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমার্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন রকম কথা বার্তা লিখছেন। তাদের ওই কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে সকল তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য মাস্ক বিতরণ কর্মসূচী চলমান রাখান আহবান জানান।
মাস্ক বিতরণ কর্মসূচীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো: আফসার আলী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেজুঁতি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: সুব্রত ঘোষ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: সুব্রত ঘোষ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বশির আহমেদ, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
(ঊষার আলো-এমএনএস)