ঊষার আলো রিপোর্ট : মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে পঞ্চগড়ে। আজও জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হলেও সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকছে। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার কথা থাকলেও তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
স্থানীয়রা জানায়, হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলে আগেই শীত নামে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকে প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে। নভেম্বর শেষ হয়ে এলেও দু’রকম আবহাওয়া অনুভব করছি। সকালে কুয়াশা থাকার কথা থাকলেও ঝকঝকে রোদের সকাল। সকাল ৯টার পর থেকেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পারদ নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়।
দিনে-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই-তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজ শনিবার ভোরে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা উঠানামা করছে। তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে।
ঊষার আলো-এসএ