আকষ্মিক অগ্নিকান্ডে শুধু ঘর-বাড়ীই পুড়ে ভষ্মিভূত হয়নি; অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন নিজেও প্রতিবন্ধী একটি সন্তানও। প্রতিবেশী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় ঘরের আগুন নিভানো সম্ভব হলেও বয়োবৃদ্ধা রাশিদা বেগমের মনের আগুন নেভাবে কে? এমনি মর্মস্পর্শ পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারটির সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা, নতুন করে গৃহনির্মাণ ও জীবিকা নির্বাহের যাবতীয় দায়িত্ব ভার কাঁধে তুলে নিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল।
নগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ীর কার্তিককুলে গতকাল রাত আড়াইটার দিকে বৃদ্ধা রাশিদা বেগমের ও তার প্রতিবন্ধী দুই ছেলে বাদল (৫০) ও মান্নান (৪৫) এর আশ্রয়স্থল আগুন লেগে পুড়ে যায়। পুড়ে যায় ঘর-বাড়ী আসবাবপত্র। প্রতিবন্ধী এক সন্তানকে নিরাপদে বের করতে পারলেও আরেকজনের মুখ মন্ডল ও শ্বাসনালী দগ্ধ হয়।
অসহায় পরিবারটি নুন্যতম চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সারারাত খোলা আকাশের নিচে কাটিয়েছিলেন। এমন তথ্য পেয়ে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল তাৎক্ষনিকভাবেই তার প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজ অর্থায়নে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। রোগী দুইজন এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। চিকিৎসকদের নিবীড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন আগামী ৪৮ ঘন্টা। এছাড়াও ওই অসহায় পরিবারের ঘর নির্মাণ করে দিবেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল।
তাৎক্ষনিকভাবে পরিবারটিতে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সভাপতি মুর্শিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতুল মোড়ল, নারী নেত্রী সালমা বেগম ও মদিনা হাওলাদার প্রমুখ।।
ঊআ-বিএস