ঊষার আলো ডেক্স : মে মাসের শুরুতেই ঘূর্ণিঝড় আসানি আসার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষা এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় আসানির এ নামটি শ্রীলঙ্কা দিয়েছে।
আন্দামান সাগর এবং তার নিকটবর্তী এলাকায় আজ শুক্রবার একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। দুদিন পর লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে সেটা ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিকে আসতে পারে। তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে প্রবেশ করলে কোন দিকে আঘাত হানবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ঠিক করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক জানান, আগামী ১০ থেকে ১২ মে ঘূর্ণিঝড়টির উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা আছে। তবুও ঘূর্ণিঝড়টির দিক এবং অগ্রসরমান গতির ওপরই নির্ভর করবে কবে কোথায় এটি আঘাত হানবে।াা/.,/রিসের
কানাডার সাচকাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হয়ে ভারতের পরিবর্তে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারনা করছে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল। ৭ মে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ১৩ মে সকাল থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবনের ওপর দিয়ে এবং দুপুরের পর থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। ঝড়টির প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা গুলোতে প্রবলভাবে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার।
ইউরোপিয়ান মডেলের পূর্বাভাস সঠিক প্রমাণিত হলে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে বেশি পড়বে। অপরদিকে, আমেরিকান মডেলের পূর্বাভাষ সঠিক প্রমাণিত হলে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে প্রভাব বেশি পড়বে।
ঊষার আলো-(এসএইস)