ঊষার আলো রিপোর্ট : মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি সিমেন্টবোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ ঘটনায় তিন শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।শনিবার ভোর ৬টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন- মানিকগঞ্জের বাসিন্দা জাহাজের সুকানি শরিফুল ইসলাম (২৮) ও একই এলাকার নুর ইসলাম (৪৫)।উদ্ধারকৃতরা হলেন- বাল্কহেডের লস্কর জুয়েল রানা (৩৫), মাস্টার সুফিয়ান (৩৫), ও বিল্লাল (৩০)।
নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ক্রাউন সিমেন্ট কারখানা থেকে সাড়ে সাত হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে পাবনার নগরবাড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল বাল্কহেডটি।
নৌযানটি মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে ঢাকামুখী লঞ্চ এমভি জাহিদ-৩ সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গেলে সেখানে থাকা পাঁচজনের মধ্যে তিনজন কোনোমতে সাঁতরে একটি ট্রলারে উঠতে সক্ষম হন। তবে আরও দুজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই রবিউল ইসলাম বলেন, বাল্কহেডডুবির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দলও রয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ায় সেটিকে আটক করা যায়নি।বাল্কহেডডুবির আড়াই ঘণ্টা পরে সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, বাল্কহেডটি কীভাবে ডুবেছে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে নৌপুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ঊষার আলো-এসএ