জব্দ ৬০ কেজি মাংস পিএইচটি সেন্টারে হস্তান্তর
নগরীর বাস্তহারা এলাকায় বুড়ো, অসুস্থ্য, গোপনে ও কসাইখানার বাইরে গরু (গাভী) জবাই করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত দু’ জনকে ২০ দিন করে বিানশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে। কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলো-বাস্তহারা ৩নং রোডের বাসিন্দা মৃতঃ ফুল মিয়ার ছেলে কসাই লিটন হোসেন(৫০) ও সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার মীর্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ আসাদ সরদারের ছেলে সাহিদুল সরদার(৪০)। একই সাথে জবাইকৃত গরুর পুরো মাংস (আনুমানিক ৬০ কেজি) জব্দ করে নগরীর গোয়ালখালি সমাজসেবা অধিদপ্তরের পিএইচটি সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
শুক্রবারে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভেটেরিনারি অফিসার ড. পেরু গোপাল বিশ্বাসের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভেটেরিনারি অফিসার ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস জানান, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ৯৯৯ কল পেয়ে তাকে খবর দেয় খালিশপুর থানা পুলিশ। সে মতে, তিনি শুক্রবার দুপুরের দিকে নগরীর খালিশপুর থানাধীন বাস্তহারার পুকুর সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালান। তিনি পিছনের পা ভাঙ্গা বুড়ো গাভী জবাই ও চামড়া ছাড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করেন। কসাই লিটন কেসিসির অনুমতি ছাড়াই গোপনে দালাল সাহিদুলের পরামর্শে বুড়ো ও অসুস্থ্য গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ সময় পুলিশের সহায়তায় কসাই ও দালালকে আটক করা হয়।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় বুড়ো, অসুস্থ্য, গোপনে ও কসাইখানার বাইরে গরু (গাভী) জবাই করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত ওই দু’ জনকে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। বিষয়টি খালিশপুর থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। পুলিশ জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের বিকেলেই কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
জবাইকৃত গাভীর মাংস আনুমানিক ৬০ কেজি হবে। যা পুরোটাই নগরীর গোয়ালখালি সমাজসেবা অধিদপ্তরের পিএইচটি সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়। ওই সেন্টারে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধি) শিশুরা লেখাপড়া করে। ঘটনার সময় একজন মহিলা নেত্রীকে অপরাধীদের পক্ষে তদ্বির করতে দেখা যায়। এ সময় এলাকার উৎসুক জনাতা ভীড় করে।
এই লিটন সম্প্রতি মাংসবিহীন দিবসে গরু জবাই করে কেসিসির অভিযানের আওতায় পড়ে তার মাংস জব্দ করার ঘটনা ঘটে। সে কসাইখানার বাইরে প্রায় এলাকায় গরু জবাই দিয়ে পরিবেশ নস্ট করে আসছিল। তাকে ধরার জন্য আগে থেকেই কেসিসির ভেটেরিনারি দপ্তর সোর্স নিযুক্ত রাখে। অবশেষে সে ধরা খেল।
ড. পেরু গোপাল বলেন, কসাইখানার বাইরে জরুরী ভিত্তিতে গরু জবাই করতে হলে তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া বুড়ো ও অসুস্থ্য গরু জবাই দেয়ার অনুমতি কেসিসি দেয় না। নগরীর যে প্রান্তে এভাবে বিনা অনুমতিতে গরু জবাই দিবে তাদের ধারাবাহিকভাবে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান। নগরবাসীকে সুস্থ্য সবল গরু-ছাগলের মাংস খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কেসিসি কাউকে ছাড় দিবে না। প্রয়োজনে কেসিসি তাদের তদারকি আরো বাড়িয়ে অন্যায়কারীদের আইনের আওতায় আনার অবিরাম চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।