ঊষার আলো ডেস্ক : প্রাপ্ত বয়স্ক দুজন নারী-পুরুষ একসঙ্গে থাকার সময় উভয়ের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক করলে সেটি ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না বলে জানিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
৫ বছর একসঙ্গে থাকা এক যুগলের সম্পর্ক ভাঙার পর দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে ১ মার্চ সোমবার দেশটির প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি ভি রামাসুব্রামানিয়ামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেছেন।
আদালত বলেছে, ‘বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া ভুল। একজন নারীরও কাউকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভেঙে ফেলা উচিত নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, একটি দীর্ঘদিনের লিভ ইন রিলেশনে যে শারীরিক সম্পর্ক হয় তা ধর্ষণ বলে পরিগণিত হবে।
মামলার বাদী তরুণীর অভিযোগের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তারা দীর্ঘদিন একসঙ্গে ছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গী প্রতারণা করে অন্য ১ নারীকে বিয়ে করেছে। এজন্য তিনি আদালতের কাছে বিচার চেয়ে মামলা করেছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বিভা দত্ত মাখিজা বলেছেন, একসঙ্গে থাকার সময় পরস্পর সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হলে সেটিকে পরবর্তীতে ধর্ষণ বলে মামলা করা হয়। এ কারণে তার মক্কেলকে আটক করা হয়েছে। বাদী এর আগে ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলেছেন। এটি মামলার বাদীর একটি ‘অভ্যাসগত’ ব্যাপার।
এ সময় আদালত বলেছে, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের বিবেচনায় ‘অভ্যাসগত’ শব্দটি আইনে নিষিদ্ধ। তখন মাখিজা বলেছে যে, তিনি এই বিষয়টির সংবেদনশীলতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন তবে এই অভিযোগকারীর অভিযোগ যে মিথ্যা তা প্রমাণ করতেই ওই শব্দ ব্যবহার করেছে।
এরপর আদালত আসামিকে ৮ সপ্তাহের জন্য জামিন দিয়ে এই সময়ের মধ্যে তাকে মামলার বাকি কার্যক্রমের জন্য প্রমাণাদি যোগাড় করতে বলেছে।
(ঊষার আলো-এম.এইচ)