ঊষার আলো রিপোর্ট : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উপস্থিতিতে সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) তাকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠে। তবে জুলাই বিপ্লবে নাহিদের অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তার ওপর অমানবিক নির্যাতনের দুইটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে একটি পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দেওয়া ওই পোস্টের ক্যাপশনে হাসনাত লেখেন, ‘গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের চিত্র এমনই ছিল। যারা হাসিনাকে পুনর্বাসনে সহায়তা করছে তারা দেশকে রক্তপাত, জোরপূর্বক গুম, হত্যার সেই পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চায়। হাসিনা শাসনের পুনর্বাসনকে সমর্থন করলে শেষ পর্যন্ত একই বিধ্বংসী পরিণতি ঘটবে।’
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘ফ্যাসিস্টবিরোধী বাংলাদেশই নাহিদ। উই আর নাহিদ। জুলাই ১৩৬, ২০২৪।’
এদিকে একই ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্যতম সমন্বয়ক এবং জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
বুধবার ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, নাহিদ, আসিফরা জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই রাজপথে নেমেছিল৷ DGFI, DB’র পাশবিক অত্যাচার, কোনো কিছুই এদের টলাতে পারেনি। হাসনাতরা আরও ৩ মাস আগেই বলেছিল ‘we are open to be killed’. মাহিন সরকার, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই৷ শেখ হাসিনার পুরো রেজিমের ভয় এদেরকে লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি।
তিনি আরও লেখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ওদের পূর্ববর্তী করাপ্টেড সিস্টেম নিয়ে ছিল সেটা বুঝেছি। সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে সেটা নিয়েও সমস্যা নেই। ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার অমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে এটা আমরা বিশ্বাস করি। যখনই সংকট এসেছে আমার এই সহযোদ্ধারাই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আর্মির কাছে হস্তান্তরের দাবিতে আন্দোলনের সময় তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উপস্থিতিতে তাকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠে।
ঊষার আলো-এসএ