ঊষার আলো রিপোর্ট : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা আরও কমেছে। আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। দুদিন ধরে ১২ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রাও অনেকটা কমেছে। রোববার বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, চলতি সপ্তাহ ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলে আগেই শীত নামে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয়। সকাল ১০টা থেকে তাপমাত্রা বাড়লেও বিকেল ৩টার পর থেকে তাপমাত্রা কমে আসে।
এদিকে ঠান্ডা বাড়ায় জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, দুদিন ধরে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির নিচে রেকর্ড হচ্ছে। সোমবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রাও অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ