ঊষার আলো রিপোর্ট :দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে নভেম্বর থেকেই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। আজকেও জেলাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও সকাল ৯টায় তা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হয়েছে। আজ সকাল ৯টায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে দিনের তাপমাত্রাও পর্যায়ক্রেমে কিছুটা কমেছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে বৃহস্পতিবার রেকর্ড হয়েছিল ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, চলতি সপ্তাহ ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলে আগেই শীত নামে। মূলত সকাল ১০টা থেকে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়।
দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই-তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত দিনের থেকে তাপমাত্রা কমেছে। শনিবার সকাল ৯ টায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
ঊষার আলো-এসএ