ঊষার আলো ডেক্স : পানি বৃদ্ধিতে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া এলাকায় ৩ কিলোমিটার যানবাহনের সারি সৃষ্টি হয়েছে। ৬-৮ ঘণ্টা সময় অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পাচ্ছে যানবাহন চালকরা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের বেশ ভোগান্তি হচ্ছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মার বুকে জেগে থাকা অনেক ডুবোচরও তলিয়ে গেছে। বর্তমানে পদ্মার পানি ৭.৭৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এভাবে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে গোয়ালন্দ উপজেলা নদী তীরবর্তী অনেক গ্রাম প্লাবিত হবে।
যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা বলেন, বেশ কয়েকদিন দৌলতদিয়া প্রান্তে কোন ভোগান্তি ছিল না। পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে ও কয়েকটি ফেরি স্রোতের প্রতিকূলে চলতে পারছে না। যে কারণে এত ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যে আমাদের ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সড়কে ফেরিপারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। যাত্রীরাও চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি বহরে ২০টি ফেরি রয়েছে। ফেরিগুলোর মধ্যে ২টি ফেরি পাটুরিয়া ডকইয়ার্ডে মেরামতের জন্য রয়েছে। আর ২টি ফেরি স্রোতের প্রতিকূলে চলতে পারছে না। বর্তমানে ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী-যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। দৌলতদিয়া প্রান্তেও বেশ কিছু যানবাহন ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান জানান, পদ্মার পানি আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। তারা পানিবন্দি মানুষের পাশে সব সময় থাকবে।
(ঊষার আলো-এসএইস)