ঊষার আলো ডেস্ক : সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেছেন, পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু শুধুই হাত দিয়ে খোলা হয়নি। আর এটা হাত দিয়ে খোলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে জেনেছি, এত বড় একটা স্থাপনার নাট-বল্টু হাত দিয়ে কখনোই খোলা যাবে না। এর নাট-বল্টু খোলার জন্য সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুন) মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার বায়োজিদ তালহার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। বায়োজিদ অন্তর্ঘাতমূলক একটি সিদ্ধান্ত নেয়, যা ছিল পরিকল্পিত। তার সঙ্গে এ ঘটনায় আরও দু’জন ছিল। যারা একটি প্রাইভেট গাড়ী করে ঘটনার দিন পদ্মা সেতুতে যায়। অপরজনকে গ্রেফতারে সিআইডি গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সিআইডি জানায় যে, পদ্মা সেতুতে দাঁড়ানো বা ছবি তোলা নিষেধ হলেও প্রথম দিনের শিথিলতার সুযোগে বায়াজিদ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সেতুর নাট-বল্টু খোলেন। সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে তিনি টিকটক ভিডিও তৈরি করেন। আর যা পরবর্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, টিকটকের ভিডিওটি আপ হওয়ার সাথে সাথে তা সিআইডির সাইবার পুলিশের মনিটরিং টিমের নজরে চলে আসে। এরপর আমরা প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে প্রাথমিকভাবে বায়োজিদের অবস্থান নিশ্চিত হই। এরপর তাকে শান্তিনগরের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বেশ কিছু তথ্য দেন। এগুলো নিয়ে এখন যাচাই-বাছাই চলছে। তবে সে যে, সেতুর নাট-বল্টু যে হাত দিয়ে খোলেনি সে বিষয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। কিসের সাহায্যে ও কত নম্বর পিলারের নাট বল্টু খোলা হয়েছে তাও তদন্তের বিষয়। এ ঘটনার সাথে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারেন। ফলে মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)
