ঊষার আলো রিপোর্ট : পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশের পরও মির্জাপুরের অবৈধ ইটভাটাগুলো অপসারণে কার্যক্রম শুরু করেনি পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রত্যেক ইটভাটায় ২০ থেকে ২৫ একর আবাদি জমি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া এসব ভাটার অধিকাংশের বৈধ কাগজপত্র নেই। অনেক ভাটার নেই পরিবেশের ছাড়পত্র।
এর আগে, গত ৬ নভেম্বর উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মির্জাপুরে দানরীর রনদা প্রসাদ সাহার প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতালের একটি প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নতুন করে ইটভাটা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দ্রুত অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।
ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, ঘনবসতিপূর্ণ লোকালয়ের তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। এ ছাড়াও কৃষি জমিতে ইটভাটা তৈরির আইনগত বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু আইন ও বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে মির্জাপুরের বিভিন্ন স্থানে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন বা লাইসেন্স না নিয়ে ইটভাটা চালু করা যাবে না। আইনের তোয়াক্কা না করে পরিবেশ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই ভাটার মালিকরা নতুন সাতটি ইটভাটা তৈরি করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, মির্জাপুর উপজেলায় মোট ১০৫টি ইটভাটা রয়েছে। ১০৫ ইটভাটার মধ্যে ৪৫টির নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এরাই মূলত বন উজাড়ের পাশাপাশি পরিবেশ নষ্ট করছে। এ বছর নতুন করে ৭টি অবৈধ ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। তাই এসব অবৈধ ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, মির্জাপুরে ১০৫টি ইটভাটা রয়েছে। যাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের হালনাগাদ ছাড়পত্র নেই, সেইসব অবৈধ ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব ।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে নতুন ইটভাটা স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। শিগগিরই অবৈধ ইটভাটা চিহ্নিত করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ঊষার আলো-এসএ