পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছায় বোন জামাইয়ের (দুলাভাই) বিরুদ্ধে শ্যালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন ও আসামী ভগ্নীপতি মশিয়ার রহমানকে আটক করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহীদ জানান, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কালুয়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তি (৫৩) তার মেয়েকে বিয়ে দেয় একই এলাকার কামরুল সরদারের ছেলে মশিয়ার রহমান (২২) এর সাথে। বিয়ের পর আকষ্মিকভাবে মেয়ে মৃত্যুবরণ করে। এরপর জামাই মশিয়ার মৃত স্ত্রীর ছোট বোন অর্থাৎ শ্যালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে বিবাহিত শ্যালিকাসহ তার পরিবারের কেউ রাজি না হওয়ায় মশিয়ার শ্যালিকার উপর চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হয় এবং ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন গত ১১ এপ্রিল মশিয়ার শ্যালিকাকে তার শশুর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সাথে করে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে একটি মাইক্রোই তাকে তুলে নিয়ে একটি বাড়িতে দুই দিন আটকে রেখে শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে এবং পরে ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে তাকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে গত ২০ এপ্রিল জামাতার বিরুদ্ধে থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। যার নং- ২৩, তাং ২০/০৪/২০২১ ইং।
এ ব্যাপারে ওসি এজাজ শফী জানান, মামলার আসামী ধর্ষিতার বোন জামাই (দুলাভাই) মশিয়ারকে আটক করা হয়েছে এবং গত বুধবার ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারা সম্পন্ন করা হয়েছে।