ঊষার আলো ডেস্ক : ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গোপন গুপ্তহত্যা অভিযান পরিচালনা করেছে, এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
ওই সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব মুহাম্মদ সাজ্জাদ কাজী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দুই নাগরিককে হত্যার বিষয়ে তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ রয়েছে। ২০২৩ সালে পৃথক ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কাজী শহিদ লতিফ ও মুহাম্মদ রিয়াজ নামে নিহত দুই পাকিস্তানির মারা যান।
ভারত তখন পাকিস্তানের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে। ভারতের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকে, মিথ্যা এবং ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ ভারত প্রচারণা চালানোর প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করা হয়।
তবে এবার ওয়াশিংটনের পোস্টের প্রতিবেদনে নতুন করে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় গুপ্তচরদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সামনে এলো।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানের ভেতরে ঘটানো হলেও তাতে সরাসরি ভারতীয় নাগরিকরা অংশ নেয়নি। তবে পাকিস্তানের অপরাধী অথবা আফগানিস্তানের অপরাধীদের শুটার হিসেবে ভাড়া করা হয়েছিল।
আর গত এপ্রিলে লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকা এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের মাটিতে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।
এর আগে গত বছর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রকাশ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কানাডীয় নাগরিক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজারের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। ভারতে একটি পৃথক শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিলেন হরদীপ সিং। এ জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাকে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল।
আর গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের দায়ে ভারতীয় এজেন্টদের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিল মার্কিন বিচার বিভাগ।
এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর দুই এজেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের জানুয়ারিতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর নির্দেশে কিছু এজেন্ট মালদ্বীপের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ শুরু করে। তাদের আলোচনার বিষয় ছিল সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
‘ডেমোক্র্যাটিক রিনিউয়াল ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি নথি ওয়াশিংটন পোস্ট হাতে পেয়েছে, যেখানে উল্লেখ রয়েছে বিরোধী এবং মুইজ্জুর নিজের দলের কিছু নেতাসহ মোট ৪০ জন সংসদ সদস্যকে ‘ঘুষ’ দিয়ে তাকে অভিশংসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ঊষার আলো-এসএ