UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাকিস্তানের অর্থনীতি নিয়ে যে আশঙ্কা ইমরান খানের

usharalodesk
মে ২৮, ২০২৩ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট:পাকিস্তান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশকে বর্তমান সংকট থেকে উদ্ধার করতে আলোচনায় বসতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তৃতায় ইমরান খান এ কথা বলেন বলে ডন জানিয়েছে।

ইমরান খান বলেন, অতি মূল্যস্ফীতির কাছাকাছি চলে যাওয়ায় দেশ আসন্ন বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। তবে ক্ষমতাসীনেরা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। কারণ, তারা বিদেশে সম্পদ লুকিয়ে রেখেছেন।

তিনি বলেন, খোলা বাজারে ডলারের দাম ৩০৮ রুপিতে পৌঁছেছে। বিপদের ঘণ্টা এখন বাজানো উচিত যে, পাকিস্তান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দিকে যাচ্ছে, যেখানে সমস্ত ব্যবসা এবং শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে।

ইমরান খান ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, সব পক্ষকে আলোচনার জন্য এ আহ্বান তার দুর্বলতা নয়। দেশের সমস্যার সমাধান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাংবিধানিক ভূমিকার মধ্যে কাজ করে গেলে তবেই সম্ভব হবে। ‘আমি যখনই আলোচনার জন্য আহ্বান জানাই ক্ষমতাসীনেরা ভাবে, আমি দুর্বল হয়ে পড়েছি। তখন তারা পিটিআই নেতাদের ওপর আরও বর্বর আচরণ করে।’

৯ মে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান গ্রেফতারের পর সহিংস বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা পাকিস্তান। ক্ষিপ্ত সমর্থক ও কর্মীরা রাষ্ট্রীয়-সামরিক স্থাপনাসহ সারা দেশে ভাঙচুর চালায়। প্রায় তিন দিনের বিক্ষোভে কমপক্ষে ৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয় আরও কয়েক ডজন।

পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের আটক করতে পিটিআই কর্মীদের ওপর শুরু ধরপাকড়-তল্লাশি। নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচারে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় দেশের শীর্ষ বেসামরিক-সামরিক নেতৃত্ব। আর্মি অ্যাক্টসহ প্রাসঙ্গিক আইনে দাঙ্গাকারীদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া ঘোষণা করা হয়। ধরে নিয়ে যায় পিটিআইয়ের প্রভাবশালী নেতাদের।

সেনা-সরকারের এ ঘোষণায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দলে। এক পর্যায়ে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীসহ বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতা ঘোষণা দিয়ে দল ছেড়ে দেন। একইসঙ্গে সামরিক স্থাপনার হামলার জন্য ইমরান খানকেই দায়ী করেন। পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পিটিআই নেতাদের দেখা দিয়েছে প্রদেশভিত্তিক ভাঙন।

পাকিস্তানে এমন এক সময়ে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে যখন দেশটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক অবস্থা পার করছে। দেশটির মূল্যস্ফীতি এখন রেকর্ড উচ্চতায়, প্রবৃদ্ধি রক্তশূন্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অর্থ ছাড় না করলে দেশটি শিগগিরই ঋণখেলাপিতে পরিণত হতে পারে এমন শঙ্কাও রয়েছে।

ঊষার আলো-এসএ