পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রাজধানীর গ্রিন রোডের পানি ভবনের সম্মেলনকক্ষে বুধবার ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ নিয়ে বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নদীতে আমাদের ভাগের একটি হিসাব রয়েছে। আমরা সেটি নিয়ে খুব শিগগিরই ভারতের সঙ্গে বসব।
‘আন্তর্জাতিক নদীর ক্ষেত্রে কারও একার দাবি করা ঠিক নয়। আমার মানুষদের পানি দিয়ে পরে আমি অন্য মানুষের কথা ভাবব, এটা বলার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পানির এই হিস্যা নিয়ে জনমানুষের কথা শুনে আলোচনার পয়েন্টগুলো নির্ধারণ করব, তবে এই মুহূর্তে আরও কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কারণে হয়তো আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।’
আন্তর্জাতিক আইনের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘১৯৯৭ সালে যে আন্তর্জাতিক আইনটি আছে, সেটা কেবল নদী না ভূগর্ভস্থ পানি নিয়েও, কিন্তু সেটা সার্কের কোনো রাষ্ট্রই স্বাক্ষর করেনি এবং প্রায় কোনো উজানের দেশই স্বাক্ষর করেনি বলা হয়েছে। ৩৬টি রাষ্ট্র অনুস্বাক্ষর করলেও কার্যকর হবে।
‘সেই ১৯৯৭ সালের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন চালু হলো ২০১৪ সালে এসে। তার কারণ ৩৬টি দেশের স্বাক্ষর জোগাড় করতে এত সময় লাগল। এটি আমাদের বলে দেয় উজানের দেশগুলো যেখানে ন্যায্যতা ও সমতা পাওয়ার কথা আছে, সেগুলো স্বাক্ষরে আগ্রহী নয়।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ১৯৯৭ সালের এই কনভেনশন বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করলে তা বাংলাদেশের পক্ষে যাবে কি না, এটা সক্রিয়ভাবে এবং ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে, কিন্তু এখানে এতদিন যখন বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেনি তার নিশ্চয়ই লিখিত কারণ আছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সে কারণগুলো এসেছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এবং পরিবেশবাদী সংগঠন বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা।