ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর দৌলতপুরস্থ পাবলা বণিকপাড়া এলাকার প্রভাবশালী প্রভাত রুদ্রের ছেলে প্রীতম রুদ্র নিষ্পাপ শিশু, একটি ফুটান্ত গোলাপ, আগামী দিনের জাতির একটি উজ্জ্বলময় নক্ষত্র শিশু অঙ্কিতা দে ছোঁয়াকে ধর্ষণ ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার ফলে সমগ্র বণিকপাড়া জুড়ে এ ঘৃনিত ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের দাবানল জ্বেলে ওঠে। পাবলা এলাকায় এ ঘৃনিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তাই এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজ একই ছাতার নিচে থেকে পাবলা বনিকপাড়া সোসাইটি নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলে। ইতিমধ্যেই সংগঠনটি ৩৭জন সদস্য নিয়ে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে পাবলা বনিকপাড়া বাসী। গত ২২ মে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত পূর্বক কমিটির গঠনের বিষয়ে অবগতসহ অঙ্কিতার হত্যা মামলার সর্বশেষ অবস্থা এবং মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নিয়ে বিচারাধীন করার ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনকে মুঠো ফোনে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নেয়ার নির্দেশ প্রদানের আলোকে সোমবার (২৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের নিজস্ব কার্যালয়ে বণিকপাড়া সোসাইটির নবনিযুক্ত নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের নিকট পাবলা অঙ্কিতার হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নেয়ার অনুরোধ জানালে তিনি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুলনালে নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাঃ সম্পাদক প্রশান্ত কুন্ডুসহ সোসাইটির নেতৃবৃন্দ। একই দিনে নেতৃবৃন্দ রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাবলা মুন্সি বাড়ী চত্ত্বরে নবগঠিত কমিটি প্রথম কার্যকরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ পাবলা অঙ্কিতার হত্যার বিচারে জিরো ট্রালারেন্স ঘোষনা করেন নেতৃবৃন্দ। সভায় যে কোন মূল্যই অঙ্কিতার হত্যাকারীকে দ্রুত বিচারে নিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তির জোরদার দাবিতে সংগঠনের নিয়মিত আন্দোলন অব্যহত থাকবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।
(ঊষার আলো-এমএনএস)