UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিএসসি’র কেউ কোচিং বা প্রেস ব্যবসায় যুক্ত থাকলেই ব্যবস্থা

ঊষার আলো ডেস্ক
জুলাই ১০, ২০২৪ ৯:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কোচিং ব্যবসায় জড়িত থেকে বছরের পর বছর চাকরি করেছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) দুজন কর্মকর্তা। সম্প্রতি প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নড়েচড়ে বসেছে পিএসসি।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানিয়েছে, পিএসসি’র কর্মরত কেউ যদি কোচিং ব্যবসা কিংবা প্রেসের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অসদাচরণের অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হবে।বুধবার এক গণমাধ্যমে পিএসসির একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা পিএসসির এ তৎপরতার কথা জানান।

ওই কর্মকর্তা বলেন, কোচিং বা প্রেস থাকলে চাকরি বিধিমালা অনুসারে তা প্রতিষ্ঠানকে জানাতে হয়। কয়েকজনের নামে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের কারও কারও কোচিং ব্যবসা আছে। কারও প্রেস আছে। এগুলো থাকলে আর প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়ে থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই ব্যক্তিদের বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হবে।

এ ছাড়া সন্দেহের তালিকার বাইরে কাউকে রাখা হচ্ছে না। কোনোভাবে কারও নাম এলেই তাঁকে তাঁর দায়িত্ব থেকে নিষ্ক্রিয় রাখা হবে। প্রয়োজনে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে আর নির্দোষ প্রমাণিত না হলে পিএসসিতে তাঁকে ফেরানো হবে না। এ ছাড়া সরকারের কোনো সংস্থা প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত করতে এলে পিএসসি থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।

উল্লখ্য, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া সাংবিধানিক সংস্থা পিএসসির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম। দুজনই চাকরির প্রস্তুতির কোচিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

এছাড়াও গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, কর্মচারী (ডেসপাচ রাইডার) মো. খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম। এ ছাড়া রয়েছেন পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী।